প্রকাশ: ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৫:৩২
সুপ্রিম কোর্ট জাজেস লাউঞ্জে সার্চ কমিটির প্রথম বৈঠক ডেকেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি ও কমিটির সভাপতি ওবায়দুল হাসান। রোববার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টায় বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে। সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
এর আগে নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের জন্য সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে প্রধান করে ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। এ সার্চ কমিটি নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য নাম সুপারিশ করবেন।
শনিবার (৫ জানুয়ারি) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে সার্চ কমিটিতে সদস্য হিসেবে আছেন সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান, মহাহিসাব নিরীক্ষক (সিএজি) মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী এবং সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন।
কমিটিতে রাষ্ট্রপতি মনোনীত সদস্য রয়েছেন দু’জন বিশিষ্ট নাগরিক। তারা হলেন- সাবেক নির্বাচন কমিশনার মো. ছহুল হোসাইন এবং কথাসাহিত্যিক ও মনোরোগ বিশেষজ্ঞ আনোয়ারা সৈয়দ হক।
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার আইন ২০২২-এর ধারা ৩ অনুযায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের যোগদানের জন্য আইনে বর্ণিত যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের নাম সুপারিশ করার লক্ষ্যে অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হলো।
অনুসন্ধান কমিটির প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন-২০২২ অনুযায়ী দায়িত্ব ও কার্যাবলী সম্পন্ন করবেন। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ অনুসন্ধান কমিটির কার্য সম্পাদনে প্রয়োজনীয় সাচিবিক সহায়তা প্রদান করবেন।
কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি। এর আগেই নবগঠিত সার্চ কমিটিকে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য নাম সুপারিশ করতে হবে। সেখান থেকে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করবেন।
সার্চ কমিটির কাজ সম্পর্কে আইনে বলা হয়েছে, এ কমিটি স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার নীতি অনুসরণ করে দায়িত্ব পালন করবে। আইনে বেঁধে দেওয়া যোগ্যতা, অযোগ্যতা অভিজ্ঞতা, দক্ষতা ও সুনাম বিবেচনা করে সিইসি ও নির্বাচন কমিশনার পদে নিয়োগের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ করবে।
এ অনুসন্ধান কমিটি সিইসি ও কমিশনারদের প্রতি পদের জন্য দুই জন করে ব্যক্তির নাম সুপারিশ করবে। কমিটির গঠনের ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে সুপারিশ রাষ্ট্রপতির কাছে জমা দিতে হবে।
সার্চ কমিটি সিইসি এবং নির্বাচন কমিশনার পদে যোগ্যদের অনুসন্ধানের জন্য রাজনৈতিক দল ও পেশাজীবী সংগঠনের কাছ থেকে নাম আহ্বান করতে পারবে।
গত ২৭ জানুয়ারি একাদশ জাতীয় সংসদের ষোড়শ অধিবেশনে আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল-২০২২’ পাসের প্রস্তাব করেন। এরপর তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। ২৯ জানুয়ারি বিলে সই করেন রাষ্ট্রপতি। এরপর ৩০ জানুয়ারি তা গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়।
এর আগে নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। ওই সংলাপে ইসি গঠন আইনের ওপর তাগিদ দেন রাষ্ট্রপতি।