প্রকাশ: ২৬ জানুয়ারি ২০২২, ২২:৩৮
বাংলাদেশের বহুল প্রত্যাশিত চার প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষ দিকে। চলতি বছরই চালু হবে পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ও কর্ণফুলী টানেল। আগামী জুনে উদ্বোধন হবে স্বপ্নের পদ্মা বহুমুখী সেতু। কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে নির্মিত চট্টগ্রামের বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন হবে আগামী অক্টোবরে। বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে চালু হবে ঢাকাবাসীর কাঙ্ক্ষিত মেট্রোরেল ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে।
দেশের গুরুত্বপূর্ণ এই চার প্রকল্প প্রাধান্য দিয়ে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য ২ লাখ ২৫ হাজার ৩২৪ কোটি ৯ লাখ টাকার ব্যয় সম্বলিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) অনুমোদন দেওয়া হয়। চলতি বছর উদ্বোধন হতে চলা চার প্রকল্প থেকে বরাদ্দের বড় আকারের অর্থ সাশ্রয় হচ্ছে। সংশোধিত এডিপিতে (আরএডিপি) সাশ্রয় হবে প্রায় ২ হাজার ২৮১ কোটি টাকা।
এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সাশ্রয় হচ্ছে পদ্মা সেতু প্রকল্পে ১ হাজার ১ কোটি টাকা। এছাড়া মেট্রোরেল প্রকল্পে ৮০০, কর্ণফুলী টানেলে ৩১৭ ও ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পে এডিপি সাশ্রয় হবে ১৬৩ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরই পদ্মা সেতু ও কর্ণফুলী টানেল নির্মাণকাজ শেষ হবে। তবে এসময়ের মধ্যে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ও মেট্রোরেলের কাজ শতভাগ সম্পন্ন হবে না। ফলে এডিপিতে সাশ্রয় হওয়া অর্থ পরবর্তী অর্থবছর অন্য প্রকল্পে ব্যয় হবে। এক্ষেত্রে সেতু বিভাগের দুটি প্রকল্পের সাশ্রয় হওয়া টাকা অন্য প্রকল্পে স্থানান্তর হতে পারে। এছাড়া অন্য কোনো মন্ত্রণালয় এডিপির টাকা সাশ্রয় করলে তা-ও অন্য মন্ত্রণালয়ে স্থানান্তর করা হবে।
এদিকে চলতি অর্থবছর এডিপি থেকে আরএডিপিতে (সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি) বড় ধরনের পরিবর্তনের আভাস রয়েছে। ২০২১-২২ অর্থবছরের মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে আরএডিপি চূড়ান্ত অনুমোদন পেতে পারে। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে পরিকল্পনা কমিশনের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এনইসি সভায় প্রস্তাবিত আরএডিপির অনুমোদন দেওয়া হবে। সে লক্ষ্যে কাজ করছে পরিকল্পনা কমিশন।