নদীর প্রবাহ নিশ্চিত করাই নদী দিবসের অঙ্গীকার: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
সাখাওয়াত জামিল সৈকত (অতিথি লেখক)
প্রকাশিত: রবিবার ২৬শে সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৯:৩৪ অপরাহ্ন
নদীর প্রবাহ নিশ্চিত করাই নদী দিবসের অঙ্গীকার: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সার্বিকভাবে ধারণ করতে পারলে বিশ্ব আসনে বাংলাদেশকে আরো মর্যাদার জায়গায় নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে। আমরা যদি বঙ্গবন্ধুকে পুরোটাই আমাদের মাঝে নিতে পারি তাহলে নদীমাতৃক এ বাংলাদেশকে সার্বিকভাবেই এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। সেটা আমাদের সামনে দৃশ্যমান; জতির পিতাকে আমরা সার্বিকভাবে ধারণ করেছি বলেই, আজকে বাংলাদেশ মর্যাদার জায়গায় গেছে। বাংলাদেশ সমৃদ্ধির পথে হাঁটছে। বাংলাদেশের অর্থনীতির সূচক বিশ্বে একটি আলোচিত বিষয়; এটা সম্ভব হয়েছে বঙ্গবন্ধুকে ধারণ করার জন্য, বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করার জন্য। এই জায়গাটায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকায় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের শহীদ শেখ কামাল মিলনায়তনে মুজিব শতবর্ষ ও বিশ্ব নদী দিবস-২০২১ উপলক্ষে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধুর নদী ও পরিবেশ ভাবনা এবং আমাদের করণীয়’ শীর্ষক সিম্পোজিয়ামে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।


খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, নদীগুলোকে রক্ষা করে এর প্রবাহ নিশ্চিত করাই- নদী দিবসের অঙ্গীকার। পঁচাত্তর পরবর্তী দূষিত সমাজ ব্যবস্থার কারণে নদীগুলোও দখল ও দূষণের কবলে পড়েছে। বঙ্গবন্ধু নদী নিয়ে যে পদক্ষেপগুলো করেছিলেন; তা তিনি বাস্তবায়ন করতে পারেননি। পঁচাত্তরের পর বঙ্গবন্ধুর পরিবারের বিরুদ্ধে অপবাদ ও অপপ্রচার করা হয়েছে। দুর্নীতিবাজ সমাজ ব্যবস্থা, লুটেরা সমাজ ব্যবস্থা তৈরি করেছে এবং এ জায়গা থেকে আমাদের নদীগুলোও রক্ষা পায় নাই।


তিনি বলেন, দূষিত সমাজ ব্যবস্থার কারণে নদীগুলো দূষিত হয়ে গেছে, দখল হয়ে গেছে। সরকার ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে ঢাকার চারপাশে নদী দখল উচ্ছেদ শুরু করে, তখন দেখা হয়নি কোনটা কার জায়গা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের সাহস দিয়েছিলেন। বাংলাদেশে এমন একজন নেতাকে আমরা পেয়েছি যার সাহস আমাদের অনুপ্রেরণা যোগায়, আমাদের উৎসাহ যোগায়। তিনি যে সাহস আমাদের দিয়েছেন, সে সাহসে আমরা কাজ করছি। এই ঢাকার চারপাশ আমরা দখলমুক্ত করেছি। সেগুলোকে রক্ষা করার জন্য কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছি।


জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান এ এস এম আলী কবীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য কামরুন নাহার আহমেদ, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের ৪৮ নদী সমীক্ষা প্রকল্পের পরিচালক ইকরামুল হক এবং বাংলাদেশ নদী পরিব্রাজক দলের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মুহাম্মদ মুনির হোসেন।


অনুষ্ঠানে তিনটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়। ‘বঙ্গবন্ধুর নদী ভাবনা ও বাংলাদেশের নদীসমূহের দখল, দূষণ ও নাব্যতা সংকট : প্রেক্ষিত ৪৮ নদী সমীক্ষা প্রকল্প, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন’; ‘বঙ্গবন্ধুর নদী ও পরিবেশ ভাবনা এবং আমাদের করণীয়’ এবং ‘সুস্থ নদী ও মৎস্য সম্পদের সম্ভাবনা’ শীর্ষক প্রবন্ধগুলো উপস্থাপন করেন যথাক্রমে এনভায়রনমেন্ট এন্ড ক্লাইমেট চেঞ্জ স্পেশালিষ্ট মনির হোসেন চৌধুরী, রিভার এন্ড ডেল্টা রিসার্স সেন্টারের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এজাজ এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোঃ মনজুরুল কিবরিয়া।