লকডাউনে রাজধানীর নিম্ন আয়ের মানুষ বিপাকে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার ২০শে এপ্রিল ২০২১ ০৫:১১ পূর্বাহ্ন
লকডাউনে রাজধানীর নিম্ন আয়ের মানুষ বিপাকে

সর্বাত্মক লকডাউনে কাজ হারানো নিম্ন আয়ের মানুষকে নগদ অর্থ ও খাবার সহায়তা দেয়ার তাগিদ দিয়েছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, সঞ্চয়হীন খেটে খাওয়া মানুষকে ঘরে রাখতে সরকার, জনপ্রতিনিধি ও সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসতে হবে। পাশাপাশি বর্তমান পরিস্থিতিতে জীবিকার আগে জীবন রক্ষায় সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।


রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার নিম্নবিত্ত মানুষের অবস্থা খুবই করুন। ৮০ বছরের বৃদ্ধা আয়না বিবির জীবন চলে রাজধানীর কাঁটাবন মোড়ে পানের দোকান চালিয়ে। লকডাউনের কারণে গেল কয়েকদিন দোকান খুলতে পারেননি তিনি। তাই ওষুধ আর খাবার কেনার টাকা জোগাড় না হওয়ায় চরম দুশ্চিন্তায় আছেন আয়না বিবি। অন্যদিকে সর্বাত্মক লকডাউনে ভ্যানচালক নুরুল হকও বিপাকে।


কাজ না থাকায় স্ত্রী ও তিন সন্তানের মুখে খাবার তুলে দেয়ার টাকা জোগাড় করতে পারছেন না তিনি।নুরুল হক আর আয়না বিবিদের মতো অসংখ্য দিনমজুর ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী লকডাউনের কারণে চরম কষ্টে আছেন। লকডাউনে কাজ হারানো এসব মানুষকে ঘরে রাখতে সরকার ও বিত্তবানদের এগিয়ে আসার তাগিদ দেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।


নিম্ন আয়ের মানুষদের বিষয়ে পাবলিক হেলথ ফাউন্ডেশনের ড. তৌফিক জোয়ার্দার বলেন, গরিব মানুষদের সবার আগে খাদ্য নিরাপত্তা দিতে হবে। খাবার বিতরণ সমাধান নয়। আর তাদের কি প্রয়োজনীয়তা তা আমরা জানি না। তাই তাদের হাতে নগদ টাকা দিয়ে দিতে হবে। আর জীবিকা ছাড়া জীবন চালানো অসম্ভব হলেও করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ভয়াবহ পরিণতি এড়াতে নিম্ন আয়ের মানুষগুলোকে এখনই কাজে বের হতে দেয়া যাবে না।


এ সমস্যা বিষয়ে রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের উপদেষ্টা ডা. মুশতাক হোসেন বলেন, সবাই মিলে নিম্ন আয়ের মানুষের খবর রাখতে হবে। তাদের খাবার ও অর্থের যোগান দেয়া গেলেই কেবল তাদের ঘরে রেখে সর্বাত্মক লকডাউন পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা যাবে।


একই বিষয়ে করোনা প্রতিরোধ জাতীয় কারিগরি বিশেষজ্ঞ কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, সরকারকে নিম্ন আয়ের মানুষদের জন্য ব্যবস্থা নিতে হবে। তবে অল্প সময়ের জন্য হলেও কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে জীবন রক্ষার জন্য। জীবন না থাকলে তো জীবিকার প্রয়োজন হবে না। তাই জীবন বাঁচাতে হবে সবার আগে।


 #ইনিউজ৭১/জিহাদ/২০২১