প্রকাশ: ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:৪২
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচারণায় পোস্টার ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে নির্বাচন কমিশন। আচরণ বিধিমালা-২০২৫ অনুযায়ী, রেক্সিন, পলিথিন, প্লাস্টিক, পিভিসি বা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর যেকোনো উপাদানে তৈরি লিফলেট, হ্যান্ডবিল, ফেস্টুন বা ব্যানার ব্যবহার করা যাবে না। এছাড়া প্রচারে বিলবোর্ড ব্যবহার সীমিত করা হয়েছে। একজন প্রার্থী এক সংসদীয় আসনে ২০টির বেশি বিলবোর্ড ব্যবহার করতে পারবেন না।
নির্বাচন কমিশন গত মঙ্গলবার আচরণ বিধিমালার খসড়া আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। আরপিও সংশোধনী প্রস্তাবের সঙ্গে এটি অনুমোদনের জন্য উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে উত্থাপন করতে হয়নি। মন্ত্রণালয়ের ভেটিং হয়ে গেলে ইসি গেজেট আকারে বিধিমালা জারি করতে পারবে।
নিয়মিত নাগরিক ও রাজনৈতিক দলের মতামত গ্রহণ করে আচরণ বিধিমালা চূড়ান্ত করা হয়েছে। বেশিরভাগ দল সাদাকালো পোস্টারে প্রচারের সুযোগ রাখার সুপারিশ করলেও ইসি সেই সুপারিশ গ্রহণ করেনি। বিধিমালার উদ্দেশ্য হলো নির্বাচনী প্রচারণাকে পরিবেশবান্ধব ও সুষ্ঠু রাখা।
নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, পোস্টার নিষিদ্ধকরণ নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কারের অংশ। প্রচারে বিলবোর্ড ব্যবহার পূর্বে ছিল না, এবার এটি বিধিমালায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ব্যানার ও ফেস্টুনের ব্যবহারও নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে।
বিলবোর্ড স্থাপনের আয়তন সর্বাধিক ১৬/৯ ফুট নির্ধারণ করা হয়েছে। জনসাধারণ বা যান চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করার মতোভাবে কোনো স্থাপন করা যাবে না। এছাড়া প্রার্থীদের মধ্যে অযাচিত প্রতিযোগিতা ও পরিবেশ ক্ষতি রোধ করাই এর উদ্দেশ্য।
বিধিমালার অন্যান্য দিক অনুযায়ী, ডিজিটাল বিলবোর্ডে শুধুমাত্র আলোকসজ্জা ব্যবহার করা যাবে, বিদ্যুৎ খরচের ওপর সীমাবদ্ধতা থাকলেও অতিরিক্ত আলোকসজ্জায় নিষেধাজ্ঞা আছে। এভাবে প্রচারণা পরিবেশবান্ধব ও নিয়ন্ত্রিত রাখা হবে।
প্রার্থীদের কাছ থেকে আচরণবিধি মেনে চলার অঙ্গীকার নেওয়া হবে। দলগুলোর কাছ থেকেও অঙ্গীকারনামা নেওয়া হবে। গুরুতর লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে আরপিওতে প্রার্থিতা বাতিলের বিধান রয়েছে।
নির্বাচনী প্রচারণায় এই নতুন বিধিমালা প্রয়োগ নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে। প্রার্থীরা এখন আইন ও পরিবেশগত সীমাবদ্ধতার মধ্যে সীমাবদ্ধ থেকে জনসাধারণের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন।