প্রকাশ: ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৯:৯
পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে এক বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর অনুপম জীবনাদর্শ, সর্বজনীন শিক্ষা ও সুন্নাহর অনুসরণ আজকের দ্বন্দ্ব-সংঘাতময় বিশ্বে শান্তি, ন্যায় ও কল্যাণ নিশ্চিত করতে পারে।
তিনি বলেন, ধর্মীয় ও পার্থিব জীবনে মহানবী (সা.)-এর সুমহান আদর্শ বিশ্ববাসীর জন্য সর্বোত্তম অনুসরণীয় ও অনুকরণীয়। এর ভেতরেই মুসলমানদের জন্য অফুরন্ত শান্তি, সফলতা ও কল্যাণ নিহিত রয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব ও সর্বশেষ নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্ম ও ওফাতের স্মৃতি বিজড়িত ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী মুসলিম উম্মাহর কাছে অত্যন্ত পবিত্র ও মহিমান্বিত একটি দিন। এই উপলক্ষে তিনি দেশবাসীসহ সমগ্র মুসলিম উম্মাহকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানান।
তিনি আরও বলেন, হজরত মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন ‘রাহমাতুল্লিল আলামিন’, সমগ্র বিশ্বজগতের জন্য রহমত। আল্লাহর পক্ষ থেকে মানবজাতির হেদায়েত ও মুক্তির জন্যই তাকে প্রেরণ করা হয়েছে।
কুরআনের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা উল্লেখ করেন, আল্লাহ বলেছেন, হে নবী, আমি আপনাকে সমগ্র বিশ্বজগতের জন্য রহমতরূপে প্রেরণ করেছি (সূরা আল-আম্বিয়া, আয়াত ১০৭)। নবী করিম (সা.) ছিলেন আলোকোজ্জ্বল প্রদীপ, যিনি মানুষকে অন্ধকার থেকে মুক্ত করে শান্তি ও প্রগতির আলো দেখিয়েছেন।
তিনি বলেন, মহানবী (সা.) কুসংস্কার, অন্যায়, অবিচার, দাসত্ব ও পাপাচারের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছেন। মানবতার মুক্তি ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তিনি বিশ্ববাসীর জন্য কল্যাণের বার্তা নিয়ে এসেছিলেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, মহানবী (সা.)-এর চারিত্রিক গুণাবলি, দয়া ও মহৎ আদর্শের জন্যই কুরআনে তাকে বলা হয়েছে ‘উসওয়াতুন হাসানাহ্’ অর্থাৎ সুন্দরতম আদর্শ। প্রতিটি যুগে তার শিক্ষা মানবজাতিকে মুক্তির পথে পরিচালিত করবে।
শেষে তিনি দোয়া করে বলেন, পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সা.) আমাদের জীবনে শান্তি ও সমৃদ্ধি বয়ে আনুক। মুসলিম উম্মাহর ঐক্য সুদৃঢ় হোক, আর মহানবী (সা.)-এর শিক্ষা ও আদর্শ অনুসরণের মাধ্যমে ইহকাল ও পরকালে কল্যাণ লাভ করা সম্ভব হোক। আমিন।