প্রকাশ: ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২১:৩৩
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র-সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই তীব্রতা পেয়েছে। এরই মধ্যে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের জিএস প্রার্থী এস এম ফরহাদের প্রার্থিতার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে একটি রিট করা হয়েছিল। অভিযোগ ছিল, তিনি ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্রলীগের কমিটিতে ছিলেন। এই বিতর্ক এখনও পুরোপুরি মুছে যায়নি।
এবার ফরহাদের বিরুদ্ধে উঠেছে নতুন অভিযোগ। অভিযোগ অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রথম বর্ষের একটি ক্লাসে তিনি নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করে প্রচারণা চালিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করে শিক্ষার্থীদের কাছে ভোট প্রার্থনা করেছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
অভিযোগ অস্বীকার করে ফরহাদ বলেন, তিনি ক্লাসের মধ্যে কোনো প্রচারণা করেননি। ক্লাস শুরু হওয়ার আগে কক্ষে প্রবেশ করেছিলেন এবং কাউকে বিরক্ত না করে শুধু সালাম দিয়ে চলে যান। তিনি উল্লেখ করেন, একটি ছবি ব্যবহার করে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
ক্লাসে থাকা শিক্ষার্থীরা ফরহাদের পক্ষে সপক্ষে কথা বলেছেন। প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার সুপ্ত বলেন, ক্লাস তখনো শুরু হয়নি, ফরহাদ কক্ষে ঢুকে শুধু সালাম দেন এবং বেরিয়ে যান। আরেক শিক্ষার্থী সাজিদ জিসান বলেন, তিনি কাউকে ভোট চেয়ে বিরক্ত করেননি, শুধু ‘দোয়া রাইখো’ বলে চলে গেছেন।
ক্লাসের শিক্ষক রনি মৃধা বলেন, তিনি নিজে দেরিতে ক্লাসে ঢুকেছেন। প্রায় একই সময়ে ফরহাদও প্রবেশ করেন। তিনি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দু-একটি কথা বলে ‘সরি’ বলে বেরিয়ে যান। ফলে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে।
ডাকসুর আচরণবিধি অনুযায়ী শ্রেণিকক্ষ, পাঠকক্ষ বা পরীক্ষার হলে কোনো সভা বা প্রচারণা করা যাবে না যা পাঠদান বা পরীক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত করতে পারে। এছাড়া শ্রেণিকক্ষ ও করিডোরে মিছিলও নিষিদ্ধ।
ডাকসুর আচরণবিধি বিষয়ক টাস্কফোর্সের আহ্বায়ক গোলাম রব্বানী বলেন, এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ এলে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নির্বাচনী সময় এই ধরনের বিতর্ক ও অভিযোগ নির্বাচনী পরিবেশকে উত্তেজনাপূর্ণ করে তোলে। তবে প্রার্থী ও শিক্ষার্থীদের বক্তব্য অনুযায়ী, বর্তমান ঘটনায় সরাসরি কোনো নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন ঘটেনি। এতে করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সম্যক বোঝাপড়ার প্রয়োজনীয়তা আবারও এসেছে।