যাত্রাবাড়ীতে ছাত্র হত্যার মামলায় থানার ওসির ৭ দিনের রিমান্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক
বিশেষ প্রতিবেদক - আইন আদালত
প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ১৯শে সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১১:০২ পূর্বাহ্ন
যাত্রাবাড়ীতে ছাত্র হত্যার মামলায় থানার ওসির ৭ দিনের রিমান্ড

ঢাকা, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩: বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে নির্বিচার গুলিবর্ষণে নিহত পুলিশ কর্মকর্তার ছেলে ইমাম হাসান তাইমের হত্যার অভিযোগে যাত্রাবাড়ী থানার ওসি আবুল হাসানকে ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। 


বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুর রহমান মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আবুল হাসানের ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদনে শুনানি শেষে ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে, সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ডিএমপির অনুমতিক্রমে কক্সবাজারের টেকনাফ থানার পুলিশ আবুল হাসানকে গ্রেফতার করে।


ইমাম হাসান তাইম, নারায়ণগঞ্জ সরকারি আদমজী নগর এম. ডব্লিউ কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র, গত ২০ আগস্ট নিহত হন। তার মা মোসা. পারভীন আক্তার এই হত্যার অভিযোগে আদালতে মামলা করেন। মামলায় যাত্রাবাড়ী থানার ওসি (তদন্ত) জাকির হোসেন, ওয়ারী বিভাগের তৎকালীন উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন, এডিসি শাকিল মোহাম্মদ শামীম ও এসি তানজিল আহমেদসহ কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে।


মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০ জুলাই সরকার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় কারফিউ জারি করে। ওইদিন দুপুর ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকায় তাইম এবং তার দুই বন্ধু কাজলা এলাকায় চা খেতে যায়। ওই সময় বিক্ষোভ চলছিল। পুলিশ প্রশাসনের নির্দেশে জাকির হোসেন ও তার সঙ্গীরা বিক্ষোভকারীদের ওপর টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড, রাবার বুলেট এবং গুলি চালায়। আতঙ্কিত ছাত্র-ছাত্রীরা এলোপাথাড়ি ছোটাছুটি শুরু করে। 


তাইম ও তার বন্ধুরা চা স্টোরের ভেতরে ঢুকে দোকানের সাটার টেনে দেন। কিন্তু সাটারের নিচে আধা হাত খোলা ছিল, এবং পুলিশ তাদের টেনে বের করে। গুলির ঘটনা ঘটলে তাইম দ্রুত দৌড়ানোর চেষ্টা করে। এই সময় জাকির হোসেন গুলি চালায় এবং বিনা চিকিৎসায় তাইম ঘটনাস্থলেই মারা যায়। 


এই ঘটনার পর থেকেই পরিবারটির মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে এবং সামাজিক মাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এই ধরনের কর্মকাণ্ড নিয়ে জনগণের মধ্যে একাধিক প্রশ্ন উঠেছে। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার আশা করছেন নিহতের পরিবার এবং সাধারণ জনগণ।