জামালপুরে দ্বিতীয় দিনের গণপরিবহন ধর্মঘট, যাত্রীদের দুর্ভোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
শাওন মোল্লা , জেলা প্রতিনিধি- জামালপুর
প্রকাশিত: মঙ্গলবার ৪ঠা মার্চ ২০২৫ ০৫:২৯ অপরাহ্ন
জামালপুরে দ্বিতীয় দিনের গণপরিবহন ধর্মঘট, যাত্রীদের দুর্ভোগ

জামালপুরে মঙ্গলবার (০৪ মার্চ) থেকে দ্বিতীয় দিনের মতো শুরু হয়েছে গণপরিবহন ধর্মঘট। এতে শহরের সাধারণ মানুষ ও যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। সকাল থেকে সকল ধরনের গণপরিবহন বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে, যা সাধারণ মানুষের চলাচল কার্যত অচল করে দিয়েছে। সোমবার (০৩ মার্চ) দুপুর থেকেই বাস এবং সিএনজি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছিল। ধর্মঘটের কারণে জামালপুরের সড়ক যোগাযোগে ব্যাপক বিঘ্ন সৃষ্টি হয়েছে এবং পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই এমন ধর্মঘটের কারণে যাত্রীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।


ধর্মঘটের বিষয়ে শ্রমিক ও বাস মালিকরা জানান, সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে, ২ মার্চ ময়মনসিংহের রাজীব পরিবহন বাসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার, এবং গতকাল (০৩ মার্চ) বাস শ্রমিকের উপর হামলার ঘটনার প্রতিবাদে এই ধর্মঘট ডাকা হয়েছে। তারা আরও জানান, জামালপুর বাস মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়ন যৌথভাবে এই ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে।


ধর্মঘটের কারণে যাত্রীরা বিশেষভাবে সমস্যায় পড়েছেন। জামালপুরের সাথে সারা দেশের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। যাত্রীরা অভিযোগ করেছেন যে, ধর্মঘটের বিষয়টি পূর্বে জানানো হয়নি, যার কারণে তাদের দৈনন্দিন কাজকর্মে ব্যাপক ব্যাঘাত ঘটছে।


এদিকে, বাস মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়ন ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন দপ্তরে স্মারক লিপি দিয়েছেন, যাতে তাদের দাবিগুলোর উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। গত ২ মার্চ সদর উপজেলার সরিফপুর এলাকায় ময়মনসিংহ থেকে ছেড়ে আসা একটি রাজীব পরিবহন বাসের সাথে একটি অটোরিকশার সংঘর্ষ হলে দুই যাত্রী নিহত হয় এবং এর পর বিক্ষুব্ধ জনতা বাসে আগুন ধরিয়ে দেয়। এরপরেই বাস মালিক ও শ্রমিকরা ধর্মঘটের ঘোষণা দেন।


এছাড়া, রাজীব পরিবহন বাস বন্ধসহ বিভিন্ন দাবিতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ করেছে। তাদের দাবি, সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত এবং বাস শ্রমিকদের নিরাপত্তা জোরদার করতে হবে।


ধর্মঘটের কারণে পুরো শহরে পরিবহন ব্যবস্থা অচল থাকায় যাত্রীদের বিশেষভাবে সমস্যা হচ্ছে। যাত্রীদের মধ্যে অনেকেই এই অচলাবস্থায় হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। জামালপুর বাস মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে যে, তাদের সমস্যাগুলোর সমাধান না হলে তারা ভবিষ্যতেও ধর্মঘট চালিয়ে যাবেন।