বরিশাল নগরীর ১১নং ওয়ার্ডের স্টেডিয়াম কলোনীতে যৌথ বাহিনীর একটি অভিযানে নগর বিএনপির মৎস্যজীবি দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ফেরদৌসের গাড়ি গ্যারেজ থেকে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় সাদ্দাম ওরফে জামাই সাদ্দাম এবং রায়হান নামে দুইজনকে আটক করা হয়েছে।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান
প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে যৌথ বাহিনীর একটি দল স্টেডিয়াম কলোনীতে ফেরদৌস এবং সুমনের গাড়ি গ্যারেজে অভিযান চালায়। ফেরদৌসের গ্যারেজ থেকে দেশীয় অস্ত্র এবং সুমনের গ্যারেজ থেকে লাঠিসোটা উদ্ধার করা হয়।
আটককৃত সাদ্দাম বলেন, "ফেরদৌস ভাই অসুস্থ। তাকে আটক না করে আমাকে আটক করা হয়েছে। আমি তার গ্যারেজের ম্যানেজার হিসেবে কাজ করি।"
অস্ত্র মজুদের বিষয়ে বিতর্ক
স্থানীয়দের মধ্যে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে। সাধারণ মানুষের প্রশ্ন, সিসিটিভি দ্বারা সুরক্ষিত একটি প্রতিষ্ঠানে কীভাবে এত অস্ত্র রাখা সম্ভব হলো। অন্যদিকে, অনেকে অভিযোগ করেছেন যে, ফেরদৌস এলাকায় নিজের প্রভাব প্রতিষ্ঠা করতে একটি গ্যাং তৈরি করেছেন এবং ধারালো অস্ত্র ব্যবহার করে বিভিন্ন জনকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আসছেন।
ফেরদৌসের বক্তব্য
এ বিষয়ে নগর বিএনপির মৎস্যজীবি দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ফেরদৌস বলেন, "আমি জানি না, গ্যারেজে অস্ত্র কে রেখেছে। যৌথ বাহিনী আমার ম্যানেজারকে ধরে নিয়ে গেছে। আমি অসুস্থ এবং আগেও আওয়ামী লীগের বাহিনীর হামলায় গুরুতর আহত হয়েছিলাম। সেই আঘাতের যন্ত্রণা এখনো বহন করছি।"
স্থানীয়দের প্রতিক্রিয়া
ঘটনাটি নিয়ে স্থানীয় মানুষদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কেউ কেউ ফেরদৌসের কর্মকাণ্ড নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন, আবার কেউ যৌথ বাহিনীর পদক্ষেপকে যথাযথ বলে মনে করছেন।
যৌথ বাহিনীর একজন প্রতিনিধি জানিয়েছেন, তদন্ত চলছে এবং আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।