নারীদের যৌন আকাঙ্ক্ষা বিষয়ে যে তথ্য জানা প্রয়োজন ...

নিজস্ব প্রতিবেদক
ইনিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার ২৭শে ডিসেম্বর ২০২২ ০৯:২০ অপরাহ্ন
নারীদের যৌন আকাঙ্ক্ষা বিষয়ে যে তথ্য জানা প্রয়োজন ...

আজ ভালো লাগছে না, কিন্তু কালই হয়তো ভালো লাগবে। যৌন আকাঙ্ক্ষার বিষয়টা এমনই বলে জানান নর্থওয়েস্টার্ন মেমোরিয়াল হসপিটালের অবসটেট্রিক্স অ্যান্ড গাইনকোলজির অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর লরেন স্ট্রেচার। নারীদের যৌন আকাঙ্ক্ষা মাঝে মাঝেই তুঙ্গে ওঠে। আবার প্রায়ই শূন্যের কোঠায় চলে যায়।


কখন যায় আসে ইত্যাদি বিষয় বুঝতে পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞ।

১. যৌন অনুভূতির মূল মস্তিষ্ক : মূলত মস্তিষ্ক থেকেই শুরু হয় যৌন আকাঙ্ক্ষা। ২০১২ সালের এফএমআরআই পরীক্ষায় দেখা গেছে, যৌন অনুভূতি আসামাত্রই মস্তিষ্কের একটি অংশ আলোকিত হয়ে ওঠে। কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে, মস্তিষ্কে আলমন্ড বাদামের আকৃতির ছোট অংশটা আবেগ নিয়ন্ত্রণ করে। এই অংশ যৌনতা নিয়ন্ত্রণ করে। আবেগময় চুমুতে মস্তিষ্কে ডোপামাইন হরমোনের ক্ষরণ ঘটে। এটা যৌন অনুভূতির তথ্য প্রবাহ ঘটায়। এ ছাড়া মস্তিষ্কের গ্রে ম্যাটারের বাইরের দিকের স্তর বড় ভূমিকা রাখে। সেরেব্রাল কর্টেক্স অংশটি যৌন চিন্তার উদ্রেক ঘটায়। আবার পিটুইটারি গ্লান্ড ডিম্বাশয়কে প্রভাবিত করে ইস্ট্রোজেন হরমোনের ক্ষরণ ঘটায়।


২. বয়সের সঙ্গে আকাঙ্ক্ষা বৃ্দ্ধি : ২০১০ সালের গবেষণায় বলা হয়, নারীর উর্বরতা তিরিশ ও চল্লিশের কোঠায় পতনের দিকে যায়। তবে এ সময় তার যৌন উত্তেজনা নিয়মিত থাকে এবং বৃদ্ধি পায়। এটা বিবর্তন যার মাধ্যমে বয়সের সঙ্গে যৌন আকাঙ্ক্ষা বৃদ্ধি পায়।


৩. গোলাপি পিল কার্যকর এবং ঝুঁকিপূর্ণ : গত বছর আমেরিকার ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন নারীদের জন্যে একটি ভায়াগ্রা বাজারজাতকরণের অনুমতি দেয়। এটা মস্তিষ্কে যৌন অনুভূতি সৃষ্টি করে। আবার বেশ কয়েকটি গবেষণায় বলা হয়, এর কিছু ক্ষতিকর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। এটি খাওয়ার ফলে সর্দি, অবসাদ এবং ঘুমের সমস্যা দেখা দেয়।


৪. মানসিক চাপ : এ কারণেও যৌন আকাঙ্ক্ষা হ্রাস পায়। মানসিক চাপ কর্টিসল নামের হরমোনের ক্ষরণ ঘটায়। ক্লিভল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি হসপিটালস কেস মেডিক্যাল সেন্টারের গবেষণায় বলা হয়, মানসিক চাপ যৌন আকাঙ্ক্ষা নষ্ট করে। এটা সম্পর্কেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে বলে জানানো হয়।


৫. ওষুধ-পথ্য : অন্যান্য সমস্যার চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধ-পথ্যের প্রভাবেও যৌন আকাঙ্ক্ষা চলে যেতে পারে। যদি তাই হয় তবে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলতে হবে।


৬. জন্মবিরতিকরণ পিল : এসব ওষুধ ইস্ট্রোজেন এবং টেসস্টোটেরনের মাত্রা কমিয়ে দেয়।


৭. এসএসআরআইএস : বিষণ্নতা প্রতিরোধী এই ওষুধগুলো যৌন আকাঙ্ক্ষা হ্রাস করে।


৮. রক্তচাপ : ফ্রান্সের এক গবেষণায় বলা হয়, মেনোপজের পর ৪১ শতাংশ নারীর যেসব ওষুধ গ্রহণ করতে হয়, সেসব ওষুধের প্রভাবে যৌন আকাঙ্ক্ষা কমে যেতে পারে। এগুলো রক্তচাপে প্রাভাববিস্তার করে। রক্তচাপের উত্থান-পতনে যৌন অনুভূতি হ্রাস পেতে পারে।


৯. অ্যান্টিহিস্টামিন : এই ওষুধ দেহের বিভিন্ন স্থানে মিউকাস উৎপাদনকারী কোষ সৃষ্টি করে। নারীর যৌনাঙ্গেও এগুলো সৃষ্টি করে। এতে ওই স্থানের অনুভূতি হ্রাস পায়। অ্যালার্জির চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধগুলো যৌন আকাঙ্ক্ষা হ্রাস করে।

সূত্র : ফক্স নিউজ