করোনাভাইরাসের প্রভাব পড়েছে সর্বত্র। ধনী থেকে গরীব, সবখানেই যেনো এই অদৃশ্য ভাইরাসের প্রভাব বিরাজমান। তেমনই প্রভাব পরেছে ভোলার লালমোহনের মুচি পাড়ায়ও।
জুতা সেলাই করে যাদের সংসার চলে। সারা বছরই যাদের সংসারে চরম অভাব অনটন লেগেই থাকে। তবুও তাদের থাকে না তেমন চাওয়া-পাওয়া। তবে করোনা পরিস্থিতে এদের মাঝে দেখা দিয়েছে হতাশা। নিজেদের আয় কমেছে কয়েকগুন।
সারাদিন দোকান খোলা রেখে জুতা সেলাই করে আয় হয় মাত্র দুইশত টাকা। লালমোহন পৌর শহরের ভূমি অফিস সংলগ্ন মুচিদের দোকানগুলোতেও মানুষজনের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়নি। যাতে করে পরিবার পরিজন নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় তারা।
উপজেলার বিভিন্নস্থানে মুচির সংখ্যা ৩০ জন। এরা অবহেলিত নানানভাবে। সরকারি কোনো সহযোগিতাই জোটে না এদের ভাগ্য। এ যেনো ‘জন্মটাই মহাপাপ’।
মুচি উকিন্দ, পন্ডিত ও সঞ্জিব জানান, সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দোকান খোলা থাকে। সারাদিনে আয় হয় মাত্র দুই থেকে আড়াই শত টাকা। যা দিয়ে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে খেয়ে-পরে বেঁচে থাকাটাই যেনো বিলাসিতা আমাদের কাছে।
তারা বলেন, করোনায় আমাদের আয় অনেক কমে গেছে। পাই না সরকারি কোনো সহযোগিতাও। জনপ্রতিনিধিদের কাছে গেলেও তারা বিভিন্ন অজুহাতে আমাদের দূরে সরিয়ে রাখেন। আমরা যেনো মানুষ নই! তাই সরকারের কাছে দাবী আমাদেরকে সহযোগিতার ব্যবস্থা করার।
লালমোহন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পল্লব কুমার হাজরা বলেন, আমরা বিষয়টি দেখে তাদের সহযোগিতার ব্যস্থা করবো। এছাড়াও যদি তাদের অন্যান্য কোনো সুযোগ সুবিধার প্রয়োজন হয়, তাহলে আমার বরাবর লিখতভাবে আবেদন করলে আমি তা দেয়ার চেষ্টা করবো।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।