এক কঠিন সংকটময় পরিস্থিতিতে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ ভোরে টেলিগ্রাফের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে বক্তব্য (স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র) পাঠিয়েছিলেন সেই বক্তব্য পাঠ করার সময় আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন হাইকোর্টের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ। এমনকি রায় ঘোষণার সময় বঙ্গবন্ধুর ওই টেলিগ্রাফের বক্তব্য পড়ার সময় আদালতে কেঁদেও ফেলেন তিনি।
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মুক্তিযোদ্ধাদের ন্যূনতম বয়স নির্ধারণ করা পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে রায় ঘোষণার সময় রবিবার (১৯ মে) হাইকোর্টের অ্যানেক্স-৬ নম্বর বেঞ্চে এ আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বেঞ্চের অপর বিচারপতি রাজিক আল জলিল। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার ওমর সাদাত ও এবিএম আলতাফ হোসেন। তাদের সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী এআরএম কামরুজ্জামান কাকন ও শুভ্রজিৎ ব্যানার্জি। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেছুর রহমান।
রিটকারীদের অন্যতম আইনজীবী ব্যারিস্টার ওমর সাদাত বলেন, ‘রায় ঘোষণার সময় আদালত ৭ মার্চের ভাষণ, ২৬ মার্চের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র, ১০ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠনের বিবরণ তুলে ধরেন। এ সময় তিনি (বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ) অত্যন্ত আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ এ সময় বলেন, যে আবেগের ভিত্তিতে এই দেশ সৃষ্টি হয়েছিল, কিন্তু সরকার যে আইন করেছিল সে আইনের কারণে আবেগটি ভূলুণ্ঠিত হয়ে গেছে। এক পর্যায়ে একাত্তরের ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করে পাঠানো বঙ্গবন্ধুর ভাষণের লিখিত বক্তব্য (মামলার নথিতে সংযুক্ত করা স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র) পড়তে গিয়ে তিনি (বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ) আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন এবং আদালতে কেঁদে ফেলেন।’
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।