নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টার মামলার প্রধান আসামি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এ এস এম সিরাজ উদ দৌলার সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এছাড়া, মামলার এজাহারভুক্ত আসামি আবছার উদ্দিন এবং মাদ্রাসার ছাত্র আরিফুল ইসলামের পাঁচদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে আটককৃত মধ্যে তিনজনকে ফেনী জেলা জজ আদালতে নিয়ে প্রত্যেকের সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট শরাফত উদ্দিন আহম্মেদ আসামিদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। মামলায় এপর্যন্ত এজাহারভুক্ত আসামি সোনাগাজী ইলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এ এস এম সিরাজ উদ দৌলা, ইংরেজী প্রভাষক আবছার উদ্দিন, যোবায়ের আহম্মদ গ্র্রেফতার করা হয়েছে।
মামলার অপর পাঁচ আসামি পলাতক রয়েছে। তারা হলেন- পৌর কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম মাকসুদ, ছাত্র শাহদাত হোসেন শামীম, সাবেক ছাত্র নুর উদ্দিন, জাবেদ হোসেন ও হাফেজ আব্দুল কাদের। এদিকে, মঙ্গলবার (০৯ এপ্রিল) নুসরাতের ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান আগের দেওয়া এজাহার পরিবর্তন করে সোনাগাজী ইলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে প্রধান আসামি করে আটজনের নাম উল্লেখ করেন। এছাড়া বোরকা পরা আরো চার নারীসহ অজ্ঞাত অনেককে আসামি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৬ এপ্রিল শনিবার সকালে আলিম পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসায় যান ওই ছাত্রী। ওই সময় তার বান্ধবী নিশাতকে ছাদের ওপর কেউ মারধর করেছে এক ছাত্রীর এমন সংবাদে ভবনের চার তলায় যান তিনি। সেখানে মুখোশ পরা ৪-৫ জন ছাত্রী তাকে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে মামলা ও অভিযোগ তুলে নিতে চাপ দেয়। এতে অস্বীকৃতি জানালে তার গায়ে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায় তারা।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।