অবৈধ সম্পদ অর্জনসহ একাধিক দুর্নীতির অভিযোগে জাতীয় পার্টির (জাপা) সাবেক মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারকে দুদকের (দুর্নীতি দমন কমিশন) তলব নোটিশ স্থগিত করে হাইকোর্টের দেয়া আদেশের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। ফলে রুহুল আমিন হাওলাদারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অনুসন্ধান চলতে আর কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী। রোববার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে আপিল বিভাগের বেঞ্চ হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে দুদকের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেন। আদালতে রুহুল আমিন হাওলাদারের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এএম আমিন উদ্দিন ও আইনজীবী মাহবুব শফিক। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
পরে খুরশীদ আলম খান বলেন, রুহুল আমিন হাওলাদারকে দুদকের দেয়া নোটিশের কার্যকারিতা গত ৩ এপ্রিল চার সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছিলেন হাইকোর্ট। এর বিরুদ্ধে আপিল করে দুদক। আপিল বিভাগ আজ হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে দেন। এখন তার বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান কার্যক্রম চলতে কোনো বাধা নেই। জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনসহ একাধিক অভিযোগের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গত ২৮ মার্চ রুহুল আমিনকে তলব করে চিঠি পাঠান দুদকের উপপরিচালক সৈয়দ আহমদ। নোটিশে রুহুল আমিন হাওলাদারকে ৪ এপ্রিল সকালে দুদকে হাজির হতে বলা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পটুয়াখালী থেকে আসা একটি অভিযোগ ও ২০১৪ সালে নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা নির্বাচনী হলফনামা বিশ্লেষণ করে ‘সম্পদ বৃদ্ধির’ বিষয়টি আমলে নিয়ে রুহুল আমিন হাওলাদারের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক।অনুসন্ধান শুরুর পর গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর রুহুল আমিন হাওলাদারকে নোটিশ পাঠিয়ে ১৮ সেপ্টেম্বর দুদকে হাজির হতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তিনি ‘রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে ব্যস্ততা ও অসুস্থতার’ কারণ দেখিয়ে দুদকে হাজির না হয়ে সময় চান এবং ব্যক্তিগত উপস্থিতি ও অভিযোগ থেকে অব্যাহতি চেয়ে দুদকে চিঠি দেন। তবে দুদক এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। এ ২৮ মার্চ ফের নোটিশ পাঠানো হয় তাকে। দুদকের তলবি নোটিশে বলা হয়, রুহুল আমিন হাওলাদারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ আছে। সরকারি সম্পদ আত্মসাতের মাধ্যমে শতকোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।