বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও নরসিংদী জেলার সভাপতি খায়রুল কবির খোকন জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।টানা আড়াই মাস কারাভোগের পর সোমবার দুপুরে তিনি নরসিংদী জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পান। কারাবন্দী থেকেই বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মনোনয়নে নরসিংদী-১ আসন থেকে নির্বাচন করেন খোকন। ২৯ নভেম্বর নরসিংদী আদালতে একটি মামলায় হাজিরা দিতে গেলে আদালত জামিন মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠান।পরে কারাগারে থেকেই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেন। মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বিস্ফোরক আইনে ও নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে নরসিংদী সদর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা দায়ের করে পুলিশ। ওই মামলায় বিএনপি ও তার সহযোগী বিভিন্ন সংগঠনের ২৭ জন নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়। পরে ২৫ নভেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ২৭৩ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। সেখানে জেলা বিএনপির সভাপতি খায়রুল কবির খোকনকে অভিযুক্ত করা হয়।
পরে ২৯ নভেম্বর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিনের আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে বিচারক তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এরপর কারাগারে থাকা অবস্থায় নরসিংদী ও ঢাকায় নাশকতা ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে আরো সাতটি মামলায় খোকনকে গ্রেফতার দেখানো হয়। এসব মামলায় বিভিন্ন সময় নরসিংদী ও ঢাকার আদালত এবং সর্বশেষ রোববার উচ্চ আদালত থেকে একটি নাশকতার মামলায় জামিন নেন তিনি। পরে সোমবার দুপুরে নরসিংদী জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পান খায়রুল কবির খোকন।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।