প্রকাশ: ১২ আগস্ট ২০২৫, ১৭:৩৯
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) দুপুর দেড়টার দিকে ঢাকায় বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন। মিছিল চলাকালে অংশগ্রহণকারী কিছু আইনজীবী অভিযোগ করেন, খায়রুল হক ছিলেন ‘স্বৈরাচার হাসিনার কারিগর’ এবং তার একমাত্র শাস্তি হওয়া উচিত ফাঁসি। তারা জানান, এ দেশে আর কোনো স্বৈরাচারের স্থান হবে না।
এই বিক্ষোভের পটভূমিতে রয়েছে গত সোমবার (১১ আগস্ট) ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে যুবদলকর্মী আবদুল কাইয়ুম আহাদ হত্যা মামলার শুনানি। ওইদিন সাবেক প্রধান বিচারপতির জামিন ও মামলা বাতিল আবেদনের শুনানিকালে হাইকোর্টে আসামিপক্ষ ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে হট্টগোল ও ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে।
ঘটনাটি ঘটে দুপুরে বিচারপতি মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি কে এম রাশেদুজ্জামান রাজার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চের এজলাসে। শুনানি চলাকালে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা আসামিপক্ষের আইনজীবীদের উদ্দেশে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, তারা বিচার বিভাগকে ধ্বংস করেছেন এবং এখন মায়াকান্না দেখাচ্ছেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা আরও প্রশ্ন তোলেন, সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহাকে যখন দেশ ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছিল, তখন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা কোথায় ছিলেন। এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করেই আদালতে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়।
এদিকে, রিমান্ড শেষে সোমবারই এ বি এম খায়রুল হককে কারাগারে পাঠানো হয়। মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য আদালত আগামী ১৭ আগস্ট তারিখ নির্ধারণ করে।
আইনজীবীদের বিক্ষোভে আদালত প্রাঙ্গণে উত্তেজনা বিরাজ করে। বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা তাদের বক্তব্যে দাবি করেন, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও গণতন্ত্র রক্ষার স্বার্থে খায়রুল হকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রয়োজন।
অন্যদিকে, আদালতের ভেতরে ও বাইরে আইনজীবীদের মুখোমুখি অবস্থান পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করে তোলে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতি বাড়ানো হয়।
ঘটনাটি আইন অঙ্গনে নতুন করে তর্ক-বিতর্কের জন্ম দিয়েছে এবং পরবর্তী শুনানির দিকে সবার নজর রয়েছে।