প্রকাশ: ২ জুন ২০২৫, ১১:৫১
সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যাকাণ্ড মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে হাইকোর্ট গত সোমবার (২ জুন) রায় ঘোষণা করেছে। বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও বিচারপতি মো. সগীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও পরিদর্শক মো. লিয়াকত আলীর মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখে। পাশাপাশি আরও ছয় আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বজায় রাখে আদালত।
এই মামলায় ২০১৪ সালে মেজর সিনহার হত্যা ঘটে বলে অভিযোগ। তদন্ত শেষে বেশ কিছু পুলিশ কর্মকর্তাসহ মোট ১২ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়। প্রথমে ট্রাইব্যুনাল আদালত মৃত্যুদণ্ডসহ বিভিন্ন দণ্ড প্রদান করে। এরপর উচ্চ আদালতে এই রায় চ্যালেঞ্জ করা হয়। তবে হাইকোর্ট বৃহস্পতিবার আনা রায়ে প্রথম রায় বহাল রাখার পাশাপাশি একাংশের সাজা পুনর্বিবেচনা করলেও শেষ পর্যন্ত আসামিদের বিরুদ্ধে দেওয়া দণ্ড ঠিক আছে বলেই ঘোষণা দেয়।
আদালত রায়ে উল্লেখ করে, মামলার প্রমাণাদি ও তদন্ত প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, হত্যাকাণ্ডে আসামিদের জড়িত থাকার যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাই তাদের বিরুদ্ধে দেওয়া মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন দণ্ড কার্যকর থাকবে।
এ মামলার গুরুত্বপূর্ণ আসামি হিসেবে ছিলেন প্রদীপ কুমার দাশ এবং লিয়াকত আলী। তাদের নেতৃত্বে ঘটে ছিল হত্যা সংক্রান্ত ঘটনা। অন্যান্য ছয় আসামিও বিভিন্ন পর্যায়ে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ত বলে আদালতে প্রমাণিত হয়।
এ রায়ের পর পরিবার, সমাজ ও সামরিক মহলে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। অনেকেই এই রায়কে ন্যায়সংগত বলে অভিহিত করেছেন। একই সঙ্গে এটি দেশের বিচার ব্যবস্থায় যথার্থ স্বচ্ছতা ও সাহসিকতার প্রতীক বলে মন্তব্য করেন আইনজীবী ও বিশ্লেষকরা।
এই মামলার রায়ের মাধ্যমে দেশের বিচার প্রক্রিয়া ও আইনের শাসনের প্রতি জনগণের আস্থা আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশা প্রকাশ করা হচ্ছে। পাশাপাশি ভবিষ্যতে বিচার ব্যবস্থায় অন্যায় ও ক্ষমতার অপব্যবহার রোধে এই রায় একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হবে।
বেশ কিছু সংগঠন ও মানবাধিকার কর্মীরাও এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন। তারা বলেন, এটি দেশের জন্য একটি বড় শিক্ষা যে কেউ অবিচারের শিকার হলে আইনের আওতায় তার ন্যায় বিচারের ব্যবস্থা রয়েছে।
মামলার এই রায় দেশের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে থাকবে। এর মাধ্যমে বিচার প্রক্রিয়ায় সঠিকতা ও ন্যায়ের প্রতিফলন সুস্পষ্ট হয়েছে বলেই ধারনা করা হচ্ছে।
আপনি চাইলে এর ভাষা বা ধরন পরিবর্তন করে দিতে পারেন, জানান।