প্রকাশ: ১১ মে ২০২৫, ১৮:৮
বাংলাদেশ সরকার আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন সংশোধন করে নতুন অধ্যাদেশ জারি করেছে, যা রাজনৈতিক দল, তাদের অঙ্গসংগঠন বা সমর্থক গোষ্ঠীকে শাস্তির আওতায় আনতে সক্ষম করবে। শনিবার এ বিষয়ে গেজেট প্রকাশিত হয়। এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি) সংগঠনের বিরুদ্ধে শাস্তি প্রদান করার ক্ষমতা লাভ করেছে, যা রাষ্ট্রপক্ষের মতে একটি যথোপযোগী উদ্যোগ।
প্রসিকিউশন বিভাগের কর্মকর্তা গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামীম জানিয়েছেন, সংশোধিত আইনে সংগঠন এবং তাদের কার্যক্রমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা রাখা হয়েছে। যদিও বাংলাদেশে অন্যান্য আইনে এ ধরনের বিধান রয়েছে, কিন্তু আন্তর্জাতিক মানের ট্রাইব্যুনালে বিচার হলে তা মানুষের কাছে আরও গ্রহণযোগ্য হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এর আগে, বিশেষ এক সভায় উপদেষ্টা পরিষদ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধন করার প্রস্তাব অনুমোদন করে। সভায় দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য বিশেষ সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়, যার মধ্যে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত অন্তর্ভুক্ত ছিল।
এ অধ্যাদেশ অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল যদি জানতে পারে যে কোনো সংগঠন ৩ ধারা উপধারা (২)-এর অধীনে কোনো অপরাধ সংঘটিত করেছে বা সহায়তা করেছে, তবে তারা সেই সংগঠনের কার্যক্রম স্থগিত বা নিষিদ্ধ করতে পারবে। এর পাশাপাশি, সংগঠনের নিবন্ধন বা লাইসেন্স বাতিল করার এবং তাদের সম্পত্তি জব্দ করারও ক্ষমতা থাকবে।
আইনে "সংগঠন" শব্দটির সংজ্ঞায়ন করা হয়েছে এবং এর আওতায় রাজনৈতিক দলসহ তাদের সম্পর্কিত বা অঙ্গসংগঠনও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই আইনের সংশোধন রাজনৈতিক দলগুলোর কার্যক্রমের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলতে পারে এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালকে আরও শক্তিশালী করার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে বিবেচিত হচ্ছে।