মাগুরায় শিশু ধর্ষণ মামলায় হাইকোর্টের কঠোর নির্দেশ: সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে শিশুটির সব ছবি অপসারণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রোববার (৯ মার্চ) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীশ রায় চৌধুরীর দ্বৈত বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে এই আদেশ জারি করেন। আদেশে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)কে তাৎক্ষণিকভাবে এই নির্দেশ বাস্তবায়নের জন্য বলা হয়েছে।
শিশু ধর্ষণের ঘটনায় ইতিমধ্যে চারজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত শনিবার শিশুটির মা মাগুরা সদর থানায় মামলাটি করেন। মামলার আসামিরা হলেন শিশুটির বোনের স্বামী সজিব (১৮), রাতুল শেখ (২০), সজিবের মা জাহেদা বেগম ও বাবা হিটু শেখ। এদের আগেই পুলিশ আটক করেছে।
ঘটনাটি গত বৃহস্পতিবার মাগুরা শহরের নিজনান্দুয়ালী চরপড়া এলাকায় ঘটে। পুলিশ জানায়, শিশুটি কয়েকদিন আগে তার বোনের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল। সেখানে শিশুটিকে একা পেয়ে বোনের শ্বশুর হিটু মিয়া তার ওপর পাশবিক নির্যাতন চালায়। এতে শিশুটি গুরুতর আহত হয় এবং তাকে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পরবর্তীতে শিশুটির শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। বর্তমানে শিশুটি সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন রয়েছে। হাইকোর্টের এই আদেশে শিশুটির গোপনীয়তা রক্ষা এবং সামাজিক মাধ্যম থেকে তার ছবি অপসারণের মাধ্যমে তার মানসিক ও শারীরিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
এই ঘটনায় সমাজের বিভিন্ন স্তরে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে কঠোর আইন ও দ্রুত বিচারের দাবি জানানো হচ্ছে। হাইকোর্টের এই আদেশকে শিশু অধিকার রক্ষায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। আশা করা যায়, এই ঘটনার দ্রুত ও ন্যায়সংগত বিচার হবে এবং ভবিষ্যতে এমন ঘটনা প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।