পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে নেপালে আরও ৩৩৬ টন আলু রপ্তানি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ১৬টি ট্রাকে ফ্রেস আলু নেপালে পাঠানো হয়। থিংকস টু সাপ্লাই ও লোড বাউন্ড লজিস্টিকসসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এসব আলু রপ্তানি করে।
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের কোয়ারিনটিন ইন্সপেক্টর উজ্জল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর ও নীলফামারী থেকে সংগ্রহ করা ফ্রেস আলু ১৬টি ট্রাকে স্থলবন্দরে এনে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর রপ্তানি করা হয়।
প্রতি ট্রাকে ২১ টন করে মোট ৩৩৬ টন আলু নেপালে পাঠানো হয়েছে। চলতি জানুয়ারি থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে বিভিন্ন পর্যায়ে ৪৬ ট্রাকে মোট ৯৬৬ টন আলু রপ্তানি হয়েছে।
স্থলবন্দর সূত্র জানায়, বাংলাবান্ধা দেশের গুরুত্বপূর্ণ একটি বন্দর। এটি বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত, নেপাল ও ভুটানের ট্রানজিট সুবিধা থাকায় ব্যবসা ও পর্যটনে সম্ভাবনা তৈরি করেছে। বর্তমানে ৯৫ শতাংশ পাথর আমদানি হলেও এখানে অন্যান্য পণ্য রপ্তানিও বাড়ছে।
এ বন্দর দিয়ে ভারত ও নেপালে পাট, ওষুধ, প্রাণ ও ওয়ালটনের পণ্য, জুস, মোটরসাইকেল, ব্যাটারি রপ্তানি হচ্ছে। এছাড়া মসুর ডাল, গম, ভুট্টা, চিরতা, হাজমলা, যন্ত্রপাতি, প্লাস্টিক দানা, রেললাইনের স্লিপার, খইল, আদা ও চিটাগুড় আমদানি করা হয়।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, নেপালের সঙ্গে আলু রপ্তানি বৃদ্ধির ফলে স্থানীয় কৃষকরাও উপকৃত হচ্ছেন। বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের আধুনিকায়ন হলে বাণিজ্যিক কার্যক্রম আরও সম্প্রসারিত হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশ থেকে নেপালে আলু রপ্তানির এ ধারা অব্যাহত থাকলে কৃষকদের উৎপাদিত পণ্যের আরও বড় বাজার তৈরি হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।