নোয়াখালী পৌরসভা বিএনপি'র সভাপতি আবু নাছেরের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার দুপুরে নোয়াখালী প্রেসক্লাব মিলনায়তনে পৌর বিএনপির ব্যানারে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়, যেখানে বিএনপির স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা আবু নাছের দাবি করেন, তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাটি সম্পূর্ণ ষড়যন্ত্রমূলক। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত এবং অতীতেও গায়েবী মামলার শিকার হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে যে, তার নির্দেশে এক ব্যক্তির কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়েছে, যা তিনি সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে উল্লেখ করেন।
তিনি আরও বলেন, তিনি একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী এবং পারিবারিকভাবে সচ্ছল। কখনো কারো কাছ থেকে চাঁদা বা অনুদান দাবি করেননি। একটি মহল রাজনৈতিকভাবে তাকে হেয় প্রতিপন্ন করতে এ মামলাটি করিয়েছে, যারা অতীতে রাজপথের আন্দোলনে ছিলেন না। তিনি সুদাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এই মিথ্যা মামলা থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়ার অনুরোধ জানান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, উপজেলা বিএনপির সভাপতি সলিমুল্লাহ বাহার, সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন খানসহ দলের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। তারা এই মামলাকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক বলে আখ্যা দেন এবং দ্রুত প্রত্যাহারের দাবি জানান।
এদিকে, বিএনপির স্থানীয় নেতাদের দাবি, এই মামলার মাধ্যমে সরকার দলের নেতারা বিরোধী মতের মানুষদের হয়রানি করার নতুন কৌশল গ্রহণ করেছে। রাজনৈতিকভাবে হয়রানির উদ্দেশ্যে বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হচ্ছে বলে তারা অভিযোগ করেন।
তবে মামলার বিষয়ে পুলিশ বলছে, সুধারাম থানায় চাঁদাবাজির অভিযোগে দায়ের করা মামলাটি আইনানুগভাবে তদন্ত করা হবে। অভিযোগের সত্যতা পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং যদি অভিযোগ মিথ্যা হয়, তাহলে তদন্তের মাধ্যমে সেটি নিশ্চিত করা হবে।
উল্লেখ্য, মাইজদীর কাজী কলোনী এলাকায় জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের একটি হাউজিং প্রকল্পের মাটি ভরাটের কাজকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার জেরে গত শনিবার সুধারাম থানায় একটি চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করা হয়, যেখানে আবু নাছেরকে এক নম্বর আসামি করা হয়েছে।
এ মামলার বিষয়ে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং দ্রুত এর সুষ্ঠু সমাধান চেয়েছেন। তারা বলেছেন, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দমন করতে যদি এ ধরনের মামলা অব্যাহত থাকে, তাহলে ভবিষ্যতে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।