ভুয়া ঋণপত্র (এলসি) তৈরি করে জালিয়াতির মাধ্যমে সোনালী ব্যাংকের ৮৫ কোটি ৮৭ লাখ ৩৩ হাজার ৬১৬ টাকা আত্মসাতের মামলায় হল-মার্ক গ্রুপের চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলামকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। রোববার আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে ঢাকার মহানগর জেষ্ঠ বিশেষ জজ কে এম ইমরুল কায়েশ তা নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মীর আহম্মেদ সালাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন
এর আগে ১৬ জুন হাই কোর্টের দেওয়া জামিন বাতিল করে চার সপ্তাহের মধ্যে জেসমিন ইসলামকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয় প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ। ২০১৬ সালের ১ নভেম্বর জেসমিনসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে রাজধানীর মতিঝিল থানায় এই মামলা করেন দুদকের উপসহকারী পরিচালক জয়নাল আবেদিন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, হল-মার্কের চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলাম এবং তার স্বামী কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর মাহমুদ তাদের প্রতিষ্ঠানের বেতনভুক্ত কর্মচারী মো. জাহাঙ্গীর আলমকে আনোয়ারা স্পিনিং মিলসের মালিক এবং মীর জাকারিয়াকে ম্যাক্স স্পিনিং মিলসের মালিক সাজিয়ে জনতা ব্যাংকের জনতা ভবন করপোরেট শাখায় একটি হিসাব খোলেন। কোনো মালামাল আমদানি-রপ্তানি না হলেও প্রতিষ্ঠান দুটির মাধ্যমে ব্যাক-টু-ব্যাক এলসির মাধ্যমে ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে সোনালী ব্যাংক থেকে ৮৫ কোটি ৮৭ লাখ ৩৩ হাজার ৬১৬ টাকা তুলে আত্মসাত করেন তারা।
ওই দিন বিকালেই তাকে দুদকের একটি দল রাজধানীর বংশাল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। তার জেসমিনের স্বামী তানভীর মাহমুদ এ মামলায় কারাগারে রয়েছেন। বিচারিক আদালতে জামিন নামঞ্জুর হওয়ার পর গত ১০ মার্চ হাই কোর্ট তাকে জামিন দেয়। এর বিরুদ্ধে দুদক আপিল বিভাগে গেলে জামিন বাতিল করে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয় সর্বোচ্চ আদালত। এছাড়া সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিল না করায় দুদকের করা মামলায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত গত বছর ১১ জুলাই জেসমিন ইসলামকে তিন বছরের কারাদণ্ড ও ২০ লাখ টাকা জরিমানা করে।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।