পুলিশের কাজে বাধা ও নাশকতার অভিযোগে রাজধানীর খিলগাঁও ও হাতিরঝিল থানায় করা দুই মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলসহ দলটির ১৪ শীর্ষ নেতাকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন স্থগিতের বিষয়ে আদেশ আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি।বৃহস্পতিবার (০৭ ফেব্রুয়ারি) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে সাত সদস্যের আপিল বিভাগের বিচারপতির বেঞ্চ আদেশের জন্য এ দিন ধার্য করেন। এদিন আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন- অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা ও মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির, ডেপুটি অ্যাটর্নি শ্রী বিশ্বজিৎ দেবনাথ ও ইকরামুল হক টুটুল প্রমুখ। অন্যদিকে, বিএনপি নেতাদের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন- ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহাবুব হোসেন, এ জে মুহাম্মদ আলী, জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, বদরুদ্দোজা বাদল, কায়সার কামার ও ব্যারিস্টার এ কে এম এহসানুর রহমান।
ব্যারিস্টার এ কে এম এহসানুর রহমান জানান, আজ শুনানির নির্ধারিত দিনে বিএনপি নেতাদের জামিন স্থগিত চেয়ে করা আবেদনের বিষয়ে আদেশের জন্য আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি ঠিক করেছেন আপিল বিভাগ। গত ৪ জানুয়ারি এ বিষয়ে শুনানি শুরু হয়। এরপর ৭ জানুয়ারি আপিল শুনানির জন্য ঠিক করা হয়। ওইদিন আপিল শুনানি না করে ২০ জানুয়ারি এ বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য করেছিলেন আপিল বিভাগ। ২০ জানুয়ারি থেকে ২৪ জানুয়ারি, পরে আবার ২৪ জানুয়ারি সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শুনানি মুলতবি করা হয়।
গত বছরের অক্টোবরে রাজধানীর হাতিরঝিল ও খিলগাঁও থানায় করা দুই মামলায় হাইকোর্টে জামিন পান বিএনপি নেতারা। এর আগে ১ অক্টোবর হাতিরঝিল থানায় মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির ৫৫ নেতার নাম উল্লেখ করে মামলা করে পুলিশ। এ ছাড়া খিলগাঁও থানায় বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে অপর একটি নাশকতার মামলা করা হয়। পরে সেই মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিন পান বিএনপির সাত নেতা। মামলাটির পুলিশ প্রতিবেদন না দেয়া পর্যন্ত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়া হাইকোর্টে জামিন পাওয়া নেতারা হলেন- ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, আমান উল্লাহ আমান ও ডাক্তার এম জেড জাহিদ, বরকত উল্লাহ বুলু, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু।
মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়, রাজধানীর মগবাজার রেলগেট এলাকায় গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে পুলিশের কাজে বাধা, পুলিশকে আক্রমণ, যানবাহন ভাঙচুর ও ক্ষতিসাধন করা হয়েছে। জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। ঘটনাস্থল থেকে বাঁশের লাঠি, পেট্রলবোমা, বিস্ফোরিত ককটেলের অংশ, কাচ ও ইটের টুকরা উদ্ধার করা হয়।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।