ডাসারে অধ্যক্ষ ও শিক্ষকদের অনিয়মে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সংকটে

নিজস্ব প্রতিবেদক
মোঃ আতিকুর রহমান আজাদ,উপজেলা প্রতিনিধি কালকিনি (মাদারীপুর)
প্রকাশিত: সোমবার ২০শে জানুয়ারী ২০২৫ ১১:২৩ পূর্বাহ্ন
ডাসারে অধ্যক্ষ ও শিক্ষকদের অনিয়মে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সংকটে

মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার ডি.কে. আইডিয়াল সৈয়দ আতাহার আলী একাডেমী অ্যান্ড কলেজে অধ্যক্ষসহ ১২ জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এসব অনিয়মে স্থানীয়রা ক্ষুব্ধ এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি টক অব দ্য উপজেলায় পরিণত হয়েছে। অভিযোগের মধ্যে রয়েছে অধ্যক্ষ মাসুদুর রহমানের দুটি শাখা থেকে সম্মানী গ্রহণ, ক্লাস চলাকালে প্রাইভেট পড়ানো, শিক্ষকদের কোয়ার্টার ভাড়া পরিশোধ না করা এবং দীর্ঘদিনের অনুপস্থিতির পরেও বেতন উত্তোলন।  


জানা গেছে, অধ্যক্ষ মাসুদুর রহমান কলেজ ও স্কুল শাখা থেকে মাসিক সম্মানী গ্রহণ করেন এবং ক্লাসরুম ব্যবহার করে নিয়মিত প্রাইভেট পড়ান। সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মমতাজ বেগম মাসের পর মাস অনুপস্থিত থেকে বেতন নিয়েছেন। এছাড়া ১২ জন শিক্ষক প্রতিষ্ঠানের কোয়ার্টারে বাস করলেও ভাড়া পরিশোধ করছেন না।  


প্রতিষ্ঠানের নাইট গার্ড পদেও রয়েছে অনিয়ম। আব্দুল হাকিম নামের এক ব্যক্তির নিয়োগ থাকলেও চাকরি করছেন আয়নাল নামের অন্য একজন। এসব অনিয়ম জানাজানি হলে স্থানীয়দের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয় এবং প্রতিষ্ঠানের সুনাম মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।  


স্থানীয় সচেতন মহল ও অভিভাবকরা জানান, প্রতিষ্ঠানে সঠিক নজরদারির অভাবে এমন অনিয়ম চলছে। দিন দিন শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে যাচ্ছে। তাদের দাবি, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হোক।  


অভিযুক্তদের মধ্যে নৈশপ্রহরী আয়নাল বলেন, তিনি আব্দুল হাকিমের পরিবর্তে চাকরি করছেন। সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মমতাজ বেগম জানান, অফিসিয়াল কাজে তাকে ঢাকায় থাকতে হয়। আর শিক্ষক মাহতাব হোসেন দাবি করেন, ভাড়া না দিলেও তিনি বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করেছেন।  


অধ্যক্ষ মাসুদুর রহমান বলেন, কলেজের সভাপতি জেলা প্রশাসক। বক্তব্য প্রয়োজন হলে তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মোছা. ইয়াসমিন আক্তার জানান, এসব অভিযোগ সম্পর্কে তিনি অবগত নন এবং তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  


স্থানীয়রা মনে করেন, সঠিক ব্যবস্থাপনা না থাকলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সুনাম হারিয়ে যাবে। এ অবস্থায় কর্তৃপক্ষের দ্রুত হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন তারা। তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার প্রত্যাশা করেছেন সাধারণ জনগণ।