যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্য হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন। সম্প্রতি ফ্লোরিডার মার-এ-লাগোতে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে বৈঠকে ট্রাম্প এই প্রস্তাব করেন। ফক্স নিউজের একটি প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
বৈঠকের মূল বিষয় ছিল বাণিজ্য ঘাটতি এবং সীমান্তে অবৈধ অভিবাসন। ট্রাম্প দাবি করেন, কানাডার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতি ১০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি, যা দেশটির অর্থনীতিতে বড় ধরনের প্রভাব ফেলছে। তিনি কানাডার পণ্য আমদানিতে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি দেন।
জাস্টিন ট্রুডো পাল্টা যুক্তি দিয়ে বলেন, এই শুল্ক আরোপ করা হলে কানাডার অর্থনীতি বড় ধরনের বিপর্যয়ের মুখে পড়বে। জবাবে ট্রাম্প বলেন, “যদি শুল্ক ও সীমান্ত সমস্যার সমাধান করতে না পারেন, তবে কানাডার উচিত হবে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্য হয়ে যাওয়া।”
সূত্রমতে, ট্রাম্প এই প্রস্তাবটি মজার ছলে করলেও তিনি বেশ কয়েকবার বিষয়টি পুনরুল্লেখ করেন। এমনকি তিনি মন্তব্য করেন, “প্রধানমন্ত্রী পদটি ভালো, কিন্তু গভর্নর হওয়াও খারাপ কিছু নয়।” আলোচনায় উপস্থিত এক ব্যক্তি যখন কানাডার রাজনৈতিক মানসিকতার বিষয়টি উল্লেখ করেন, তখন ট্রাম্প প্রস্তাব দেন, কানাডাকে দুটি অঙ্গরাজ্যে বিভক্ত করা যেতে পারে—একটি রক্ষণশীল এবং অন্যটি উদারপন্থী।
বৈঠকে আরও আলোচনা হয় সীমান্ত নিরাপত্তা, মাদক প্রবাহ, এবং অবৈধ অভিবাসনের বিষয়ে। ট্রাম্প কানাডার সীমান্ত সমস্যা সমাধানে ব্যর্থতার কথা উল্লেখ করে বলেন, “৭০টিরও বেশি দেশ থেকে মাদক ও অবৈধ অভিবাসী যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করছে। এ সমস্যা সমাধানে কানাডাকে আরও কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে।”
তিন ঘণ্টার এই বৈঠকের শেষে ট্রুডো এবং তার প্রতিনিধিরা আলোচনা ও ডিনারকে “বন্ধুত্বপূর্ণ ও ইতিবাচক” হিসেবে বর্ণনা করেন। তবে ৫১তম অঙ্গরাজ্যের বিষয়ে আর কোনো মন্তব্য করেননি।
ট্রাম্পের এই মন্তব্য মজার ছলে বলা হলেও এটি আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এবং কূটনীতির জটিলতায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে। কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে সিদ্ধান্ত আসন্ন দিনগুলোতে পরিষ্কার হবে।
**ইনিউজ৭১-এর জন্য প্রতিবেদন।**
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।