কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় রায়হান হত্যার দায়ে শিখা খাতুনের আমৃত্যু সহ পাঁচজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
বুধবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. তাজুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় দণ্ডপ্রাপ্ত এক আসামি ছাড়া বাকিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আমৃত্যু দণ্ডপ্রাপ্ত শিখা খাতুন দৌলতপুর উপজেলার ভুরকাপাড়া গ্রামের আব্দুল মান্নানের মেয়ে। এবং যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- দৌলতপুর উপজেলার ভুরকাপাড়া গ্রামের মৃত জলিল সরদারের ছেলে আব্দুল মান্নান (৬০), তার ছোট ভাই সাদু সরদার (৪৬), একই গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে সাজুল সরদার (৪৫), মৃত শওকত সরদারের ছেলে বজলু সরদার ওরফে বজু (৪৮) ও রাজন আলীর স্ত্রী আজমিরা খাতুন (৩২)।
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অনুপ কুমার নন্দী।
তিনি বলেন, আসামি শিখার সঙ্গে ভেড়ামারা উপজেলার জুনায়াদহ খন্দকার পাড়া এলাকার মীর শহীদুলের ছেলে রায়হানের (২৬) প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তাদের এ সম্পর্ক শিখার পরিবার মেনে না নেওয়ায় পূর্বপরিকল্পিতভাবে ২০১৬ সালের ৬ অক্টোবর রাতে রায়হানকে ফোন করে বাসায় ডেকে আনেন শিখা। ওই রাতেই আসামিরা রায়হানকে মারধরে হত্যার পর মরদেহ গুম করে রাখেন।
পরদিন ৭ অক্টোবর ভেড়ামারা উপজেলার জুনিয়াদহ পালপাড়া এলাকা থেকে পুলিশ রায়হানের মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ৯ অক্টোবর নিহতের বাবা মীর শহীদুল আসামিদের বিরুদ্ধে ভেড়ামারা থানায় মামলা করেন।
মামলা তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা ২০১৭ সালের ৩০ ডিসেম্বর আদালতে আটজনকে আসামি করে মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তারা। আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করলে সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে ধার্য দিনে আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।