আসামী ছিনতাই মামলায় টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের সদস্য হাফেজ ছৈয়দুল ইসলাম জামিনে মুক্ত হয়ে জনতার ভালবাসায় সিক্ত হয়েছেন।
সোমবার (৯ আগস্ট) কক্সবাজার আদালত থেকে তিনি জামিনে মুক্ত হন এবং ১১ আগষ্ট (বুধবার) বিকেলে নিজ এলাকায় ফিরলে হাজারো মানুষের ভালো বাসায় সিক্ত ও সংবর্ধিত হয়।
জানা যায়, ৪ আগষ্ট বুধবার বিকালে টেকনাফ সদরের ছোট হাবিব পাড়ায় পলাতক আসামি হাবিবুর রহমান ওরফে মগুকে টেকনাফ থানা পুলিশ আটক করে নিয়ে যাওয়ার সময় হাতকড়াসহ ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে।
এঘটনায় ৭ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হাফেজ মাওলানা ছৈয়দুল ইসলামকে মুঠোফোনে থানায় ডেকে নিয়ে আটক দেখিয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর ১ নং আসামী করে কারাগারে প্রেরণ করে। ওই মামলায় গত সোমবার কক্সবাজার ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জামিন আবেদন করলে তা মনজুর করেন।
জেলা করাগার থেকে মুক্ত হয়ে ১১ আগষ্ট (বুধবার) বিকেলে হাফেজ ছৈয়দুল ইসলাম নিজ এলাকায় ফেরার খবর পেয়ে শত শত নেতা কর্মী মোটরসাইকেল বহর যোগে শো-ডাউনের মাধ্যমে তাকে স্বাগত জানান। এসময় তার নির্বাচনী এলাকা হাজমপাড়া ও কচুবনিয়া বাজারে সংক্ষিপ্ত পথসভা করেন।
তিনি বলেন, 'আমি কুচক্রীমহলের ষড়যন্ত্রের শিকার। আমার নির্বাচনী প্রতিপক্ষ ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করে আমাকে জনগণের কাছ থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে চাই।
গত ৪ আগষ্ট পলাতক আসামিকে পুলিশ থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় নাজির নামে এক পুলিশ মুঠেফোনে আসামীকে পুনরায় আটক করতে সহযোগীতা চাইলে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পুলিশকে সহযোগিতা করি।
পরে ওসি এবং উখিয়া-টেকনাফের সার্কেল এর সাথে কথা আছে বলে থানায় ডেকে নিয়ে যায়। পুলিশ আমার নির্বাচনী প্রতিন্দন্দ্বী প্রার্থী (প্রতিপক্ষ)’র যোগসাজসে আমাকে ওই মামলার ১নং এজাহারভুক্ত আসামি হিসেবে আটক দেখিয়ে পরদিন জেল হাজতে প্রেরণ করে। ওই ঘটনার সাথে আমি বিন্দু মাত্র সম্পৃক্ততা নেই।
এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত পুর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য কক্সবাজার পুলিশ সুপার, উখিয়া-টেকনাফের সার্কেলসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি দাবী জানাচ্ছি'।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।