সরকারি চাল আত্মসাৎ; ১৬ ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক
বিশেষ প্রতিনিধি - দুদুক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার ৩১শে আগস্ট ২০২১ ০৯:৪৪ অপরাহ্ন
সরকারি চাল আত্মসাৎ; ১৬ ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা

জালিয়াতির মাধ্যমে জিআর প্রকল্পের প্রায় ছয় হাজার মেট্রিক টন চাল আত্মসাতের অভিযোগে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ মামলায় উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এবং কাউন্সিলরসহ মোট ১৯ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিরা সবাই গাইবান্ধার গোবিন্ধগঞ্জ উপজেলার জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মচারী। 


গত ২৬ আগস্ট দুর্নীতি দমন কমিশনের রংপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. হোসাইন শরীফ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মঙ্গলবার দুদক সচিব মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আসামিরা জাল কাগজপত্র তৈরি করে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় ধর্মীয় সভার অনুকূলে জিআর এর বরাদ্দ করা ৫ হাজার ৮২৩ মেট্রিক টন সরকারি চাল উত্তোলন করে কালোবাজারে বিক্রি করে। ওই সময় এই পরিমাণ চালের সরকারি আর্থিক মূল্য ২২ কোটি ৩ লাখ ২১ হাজার ৫৯০ টাকা। দণ্ডবিধির ৪০৯/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় আসামিরা শাস্তিযোগ্য অপরাধ করায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।


আসামিরা হলেন, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. জহিরুল ইসলাম, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ১ নং কামদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মোশাহেদ হোসেন চৌধুরী, ২নং কাটাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. রেজাউল করিম (রফিক), ৩নং শাখাহার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. তাহাজুল ইসলাম, ৪নং রাজাহার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আব্দুল লতিফ সরকার, ৫নং সাপমারা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. শাকিল আলম, ৬নং দরবস্ত ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আ. র. ম. শরিফুল ইসলাম জজ, ৭নং তালুককানুপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আতিকুর রহমান আতিক, , ৮নং নাকাই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কাদের প্রধান, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আকতারা বেগম, ১০ নম্বর রাখালবরুজ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. শাহাদাত হোসেন, ১১নং ফুলবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আব্দুল মান্নান মোল্লা, ১২ নং গুমানীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. শরীফ মোস্তফা জগলুল রশিদ রিপন, ১৩নং কামারদহ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. শরিফুল ইসলাম রতন, ১৪নং কোচাশহর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মোশারফ হোসেন,  ১৫ নং শিবপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সেকেন্দার আলী মণ্ডল, ১৬ নং মহিমাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আব্দুল লতিফ প্রধান ও ১৭ নং শালমারা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আমির হোসেন শামীম ও গোবিন্ধগঞ্জ পৌরসভার কাউন্সিলর মোছা: গোলাপী বেগম।