জুলাই সনদের বাস্তবায়নেই নির্ভর করছে জাতীয় নির্বাচনের সময়: প্রেস সচিব

নিজস্ব প্রতিবেদক
মোঃ সাইফুল ইসলাম, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: বুধবার ৫ই ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৮:৫৮ অপরাহ্ন
জুলাই সনদের বাস্তবায়নেই নির্ভর করছে জাতীয় নির্বাচনের সময়: প্রেস সচিব

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময়সূচি নির্ধারণের ক্ষেত্রে ‘জুলাই সনদ’ বাস্তবায়ন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম। তিনি জানান, সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সমাজের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে একটি ঐকমত্যে পৌঁছানো হবে, যা ‘জুলাই সনদ’ নামে চূড়ান্ত হবে। এই সনদের বাস্তবায়নের ওপর নির্ভর করবে নির্বাচন এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে হবে নাকি আগামী বছরের জুলাইয়ের মধ্যে হবে।


বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন তাদের প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেওয়ার পর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার সামনে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন প্রেসসচিব শফিকুল আলম।


প্রেসসচিব জানান, ছয়টি কমিশনের প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে দেশের রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সমাজের সঙ্গে আলোচনা করবে ঐকমত্য কমিশন। আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে কোন সংস্কার দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে এবং কোনগুলো পরবর্তী সরকারের ওপর ছেড়ে দেওয়া হবে।


তিনি বলেন, "কিছু সংস্কার সুপারিশ বাস্তবায়নে সংবিধান সংশোধনের প্রয়োজন পড়বে না, বরং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমেই তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে। তবে কিছু সংস্কারের জন্য সংবিধান সংশোধনের প্রয়োজন হতে পারে। আবার কিছু সংস্কার এমনও আছে যা দ্রুত বাস্তবায়ন করা সম্ভব এবং এজন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাদা করে আলোচনার দরকার পড়বে না।"


প্রেসসচিব আরও বলেন, "যেসব সংস্কার নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো একমত হবে, সেগুলো চূড়ান্তভাবে ‘জুলাই সনদ’ নামে একটি নথিতে রূপান্তরিত হবে। এটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব অন্তর্বর্তী সরকার ও পরবর্তী নির্বাচিত সরকারের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হবে।"


প্রেসসচিব শফিকুল আলম জানান, জাতীয় নির্বাচন কবে অনুষ্ঠিত হবে, সে বিষয়ে এখনো সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, সংস্কার কতটা সম্পন্ন করে নির্বাচনে যাওয়া হবে, তার ওপর নির্ভর করে ২০২৫ সালের শেষ অথবা ২০২৬ সালের প্রথমার্ধের মধ্যে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।


রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, নির্বাচন সময়মতো আয়োজনের জন্য সংস্কার প্রক্রিয়াকে দ্রুত এগিয়ে নিতে হবে এবং রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য সৃষ্টি করতে হবে।