যৌথ বাহিনীর অভিযানে ঘোড়াঘাটে পিস্তল ও গুলি সহ যুবক আটক

নিজস্ব প্রতিবেদক
গোলাম রব্বানী, নিজস্ব প্রতিনিধি (দিনাজপুর)
প্রকাশিত: রবিবার ২৪শে নভেম্বর ২০২৪ ০৬:৫৫ অপরাহ্ন
যৌথ বাহিনীর অভিযানে ঘোড়াঘাটে পিস্তল ও গুলি সহ যুবক আটক

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে যৌথ বাহিনীর অভিযানে জুয়েল রানা (২৫) নামে এক যুবককে আটক করা হয়েছে। রবিবার (২৪ নভেম্বর) দিবাগত রাতে ঘোড়াঘাট পৌরসভার মাছুয়াপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথভাবে তার বাড়ি থেকে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করে।


আটক জুয়েল রানা ঘোড়াঘাট পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের পান্না মিয়ার ছেলে। পেশায় তিনি একজন মাছ ব্যবসায়ী ও স্থানীয় ফুটবল খেলোয়াড়। যৌথ বাহিনীর অভিযানে তার বাড়ি থেকে একটি ৭.৬২ মিমি পিস্তল, আট রাউন্ড গুলি এবং একটি ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।


পুলিশ ও সেনাবাহিনী সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাছুয়াপাড়ায় তার বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে জুয়েল স্বীকার করে, তার কাছে অস্ত্র রয়েছে। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, পাশ্ববর্তী গাইবান্ধার পলাশবাড়ী থানার উইতসাগর গ্রামে তার ভগ্নিপতির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়।


অভিযানে মধ্যপাড়া পাথর খনির সেনা ক্যাম্পের সদস্যরা এবং পলাশবাড়ী থানা পুলিশ অংশ নেন। পলাশবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুলফিকার আলী ভুট্টু জানান, জুয়েলের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।


তিনি আরও জানান, জুয়েলের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, অস্ত্রটি সে ৫ আগস্টের পর কিনেছে। তার কাছ থেকে অস্ত্র কেনার সময় ব্যবহৃত অর্থের উৎস ও বিক্রেতা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। এই চক্রের সঙ্গে জড়িত অন্যান্যদের খুঁজে বের করার জন্য তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।


পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, অস্ত্র কেনার উদ্দেশ্য এবং এটি ব্যবহার করে কোনো অপরাধের পরিকল্পনা ছিল কিনা, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার জন্য যৌথ বাহিনী কাজ করছে।


স্থানীয়রা জানান, জুয়েল এলাকায় একজন ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে পরিচিত হলেও তার কিছু কার্যকলাপ সন্দেহজনক ছিল। এ ঘটনায় গ্রেপ্তারের পর এলাকায় আতঙ্ক ও উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।


অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনের কাছে একটি বড় সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানিয়েছে, এ ধরনের অপরাধ প্রতিরোধে ভবিষ্যতে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।