প্রকাশ: ২১ আগস্ট ২০২৫, ২২:৩১
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান অভিযোগ করেছেন যে, আগামী নির্বাচনে বিএনপির বিজয় ঠেকাতে নানা ধরনের অন্তর্ঘাতী রাজনীতি চলছে। তিনি বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচনে ভোট দেওয়ার সুযোগ পেলে জনগণ বিএনপিকে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব দিতে পারে। এই ভয়ে অতীতে পলাতক স্বৈরাচার বিএনপির বিজয় ঠেকানোর অপচেষ্টা চালিয়েছিল।
তিনি বলেন, দেশের নির্বাচনি ব্যবস্থাকে গত ১৬-১৭ বছরে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছিল। স্থানীয় সরকার নির্বাচন থেকে জাতীয় নির্বাচনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই একই অবস্থা বিরাজ করেছিল। এবার আশ্চর্যের বিষয় হলো, ক্ষমতাসীন সরকার নয় বরং ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের সহযোদ্ধা কিছু রাজনৈতিক গোষ্ঠীও বিএনপির বিজয় ঠেকানোর প্রবণতা দেখাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে জন্মাষ্টমী উপলক্ষে হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যদের সম্মানে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাংলাদেশের আর্থসামাজিক, ভৌগোলিক ও রাজনৈতিক বাস্তবতায় এই পদ্ধতি এখনো উপযোগী নয়। জনগণকে অবশ্যই জানতে হবে কাকে তারা ভোট দিচ্ছেন। কিন্তু পিআর পদ্ধতিতে সেই স্বচ্ছতা নেই।
কিছু রাজনৈতিক দলের উদ্দেশে তিনি বলেন, আসন্ন নির্বাচনের আগে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্টা করলে গণতন্ত্রের উত্তরণ ব্যাহত হতে পারে। এতে পরাজিত ফ্যাসিবাদী শক্তি পুনর্বাসনের সুযোগ পাবে।
তারেক রহমান আহ্বান জানান যে, গণতান্ত্রিক দলগুলোর মধ্যে মতভেদ থাকতে পারে, তবে জাতীয় স্বার্থ, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে ঐকমত্য থাকা জরুরি।
হিন্দু সম্প্রদায়ের উদ্দেশে তিনি বলেন, অতীতে যেসব হামলা হয়েছে তা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বা আর্থিক স্বার্থে হয়েছে। কোন কারণেই যাতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর অন্যায় না হয়, তা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, দেশে একাত্তরকে ভুলিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে। এজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তিনি উগ্রবাদকে মাথাচাড়া দিতে না দেওয়ার আহ্বান জানান।