ভূরুঙ্গামারীতে জমির মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্বে কোটি টাকার কাজ বন্ধ, ভোগান্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক
শামসুজ্জোহা সুজন , উপজেলা প্রতিনিধি, (ভূরুঙ্গামারী) কুড়িগ্রাম
প্রকাশিত: শনিবার ২৭শে মে ২০২৩ ০৭:৫৫ অপরাহ্ন
ভূরুঙ্গামারীতে জমির মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্বে কোটি টাকার কাজ বন্ধ, ভোগান্তি

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীর চৌধুরী বাজারের জমির মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্বের কারণে বাজারটির এক কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ বন্ধ রয়েছে। বাজারের কাজ বন্ধ থাকায় রাস্তার উপর পণ্য সামগ্রী বেচা-কেনা করতে হচ্ছে। এতে ক্রেতা বিক্রেতা সহ পথচারীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।


স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) কার্যালয় সূত্রে জানাগেছে, প্রভাতী প্রকল্পের আওতায় প্রায় এক কোটি ৬ লাখ টাকা ব্যয়ে বঙ্গসোনাহাট ইউনিয়নের চৌধুরী বাজারের অবকাঠামো উন্নয়ন করা হবে। যার মধ্যে রয়েছে তিনটি হাট সেড, মহিলা মার্কেট, বাজার কমিটির অফিস কক্ষ, ওপেন সেলস প্লাটফর্ম, পুরুষ ও নারী টয়লেট। সম্প্রতি ওই বাজারের পুরাতন হাট সেড ভেঙে নতুন হাট সেড নির্মাণ শুরু করা হলে বাজারের জমির মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়।


স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুস সালাম ও জহুরুল ইসলাম বলেন, হাট সেড নির্মাণ বন্ধ থাকায় বাজারে আসা ক্রেতা-বিক্রেতাদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। বৃষ্টিতে মালপত্র ভিজে যায়। দ্রুত হাট সেড নির্মাণ করা প্রয়োজন।


বঙ্গসোনাহাট ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারি কর্মকর্তা লিটন মিয়া বলেন, চৌধুরী বাজার ১৯৬৬ সালে চালু হয়। সেই থেকে বাজারটি সরকারিভাবে ইজারা দেয়া শুরু হয়। বাজারের জমি সরকারি স্বার্থ সংশ্লিষ্ট জমির রেকর্ডভুক্ত এবং বাজারের জমি বাজারের নামেই আর.এস রেকর্ড ভুক্ত রয়েছে। তিনি আরও বলেন, একটি পক্ষ বাজারের জমির ৩২ শতাংশের মালিকানা দাবি করে বাজারের মাঝখানে একটি সাইনবোর্ড লাগিয়ে দিয়েছে এবং গত ৩০ মার্চ কুড়িগ্রাম জেলা যুগ্ম জজ আদালতে একটি মামলা করেছে।


জানাগেছে, বাজারের জমির মালিকানা সংক্রান্ত মামলায় আদালত সরকার পক্ষকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছিল। সরকার পক্ষ যথাসময়ে তার ব্যাখ্যা না দিতে পারায় আদালত ওই জমির ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এতে হাট সেড নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে যায়। অপরদিকে সরকার পক্ষ আপত্তি দাখিল করলে আদালত তা মঞ্জুর করে ২৫ মে শুনানি শেষে আগামী ২৮ মে রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেছে।


জমির মালিকানা দাবিকারীদের একজন ভূরুঙ্গামারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নূরুন্নবী চৌধুরী বলেন, হাটের জমির মালিকানা দাবিকারীদের অনেকেই বর্তমানে এলাকায় থাকেন না। তাই বিষয়টির মিমাংসা করা যাচ্ছেনা। দ্রুতই বিষয়টির মিমাংসা হয়ে যাবে।


উপজেলা প্রকৌশলী হারুন উর রশীদ বলেন, মামলার কারণে বাজারের উন্নয়ন কাজ বন্ধ রয়েছে। মামলা নিষ্পত্তি হলে কাজ শুরু করা হবে।


উপজেলা নির্বাহী অফিসার দীপক কুমার দেব শর্মা বলেন, বাজারের জমির মালিকানা দাবিকারীদের নিকট জমির কাগজপত্র চাওয়া হয়েছিল কিন্তু তারা তা দেখাচ্ছেন না। তারা কেন জমির মালিকানা দাবী করছেন তা বোধগম্য নয়। বাজারের জমির সকল কাগজপত্র সরকারের পক্ষে রয়েছে।