টাঙ্গাইলে খানাখন্দে ভরা সড়কে ভোগান্তিতে জনগণ

নিজস্ব প্রতিবেদক
মির্জা শহিদুজ্জামান দুলাল, জেলা প্রতিনিধি, টাঙ্গাইল:
প্রকাশিত: শনিবার ১১ই সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৩:৩৮ অপরাহ্ন
টাঙ্গাইলে খানাখন্দে ভরা সড়কে ভোগান্তিতে জনগণ

টাঙ্গাইল শহরের উত্তরের প্রবেশদ্বার এলজিইডি মোর থেকে যোকারচর পর্যন্ত সড়কে খানাখন্দে ভরা। বিভিন্ন স্থানে পানি জমে পিচ উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।এই সড়কটির দৈর্ঘ্য প্রায় ২০ কিলোমিটার প্রতিদিন এই সড়কে ঝুুকি নিয়ে চলে কয়েকশত যানবাহন। 


 শহরের  যানজট পরিহার করতে উত্তর এলাকার হাজার হাজার মানুষ এই রাস্তাটি ব্যবহার করে থাকে, এছারাও এই সড়কটি দিয়েই যমুনা পূর্বপ্রান্ত পর্যন্ত  যান চলাচল করে থাকে।  অনেকেই আবার রাবনা বাইপাস ও এলেঙ্গার যানজট পরিহার করতে অথবা নিরাপদ মনে করে এই সড়ক ব্যবহার করে যমুনা পূর্বপ্রান্ত মহাসড়কের যোকারচর প্রবেশ করে থাকে।  


এই সড়ক দিয়েই পারি দিতে হয় কয়েকটি গ্রাম, এনায়েতপুর, মগড়া,গালা,মালঞ্চ,মাগুরাটা, কুইচবাড়িসহ আরো অনেকগুলি গ্রাম। এসব গ্রামের মানুষদের ঝুকি নিয়ে প্রতিদিন চলাচল করতে হচ্ছে। সড়কটি খানা-খন্দের সৃষ্টি হওয়ায় প্রত্যন্ত এলাকার হাজারো মানুষকে তাই দূর্ভোগ পোহাতে হয়।


স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় সড়কটির অধিকাংশ স্থানে কার্পেটিং উঠে গিয়ে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এতে এ সড়ক দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে কয়েকটি গ্রাম, এনায়েতপুর, মগড়া,গালা,মাগুরাটা, কুইচবাড়িসহ আরো অনেকগুলি গ্রাম ২টি ইউনিয়নের অন্তত প্রায় ১৫ হাজার মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। বর্তমানে নিত্যনৈমিত্তিক কাজের জন্য সড়কটি দিয়ে যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এসব গ্রামের হাজারও বাসিন্দা ও পথচারীদের।


এছাড়া এলাকাটি কৃষি নির্ভর হওয়ায় জমি থেকে ফসল উৎপাদনের পর বাজারজাত করতেও সমস্যা হচ্ছে। বৃদ্ধ ও রোগীদের বেশি সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। বৃষ্টিতে রাস্তার অবস্থা আরও বেশি নাজুক হয়। ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা উল্টে দুর্ঘটনাও ঘটছে প্রায়শই। মাগুরাটা গ্রামের বাস শ্রমিক বলেন, প্রতিদিন এই সড়ক ব্যবহার করে শহরে কাজে যেতে হয় প্রায় সময়ই ফিরতে রাত হয়।  সড়কটি ভাঙ্গাচোরা হওয়ায় খুুবই কষ্ট হয় আমাদের, প্রায় সময় রাতে অন্ধকারে গর্তে পরে দূর্ঘটনা ঘটে। মগরা বাজারে কথা হয় পিকাপ ভ্যানচালক জাহিদের সাথে তিনি বলেন, এই রাস্তা দিয়ে গাড়ি চালাতে খুবই কষ্ট হয় ৩০ মিনিটের রাস্তা আমাদের একঘন্টার বেশি সময় লেগে যায়। এই সড়কে চলাচল করলে গাড়ির অনেক ক্ষতি হয়। 


 এ ব্যাপারে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডির) নির্বাহি প্রকৌশলী মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, কাজের টেন্ডার হয়ে গেছে। কিছুদিনের মধ্যেই সড়কটির সংস্কারকাজ শুরু হবে,