প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত গোটা বিশ্ব। এই ভাইরাসের বিষাক্ত ছোবলে ইতোমধ্যে বিশ্বের ২১৩টি দেশ ও অঞ্চল আক্রান্ত হয়েছে। এখন পর্যন্ত (বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা) বিশ্বব্যাপী ভাইরাসটিতে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৩ লাখ ২৩ হাজার ৭৬১ জন। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৪ লাখ ১৩ হাজার ৭৩১ জনের।এখন পর্যন্ত প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের কোনও প্রতিষেধক আবিষ্কার না হওয়ায় বিশ্বব্যাপী প্রতি মুহূর্তে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা।
তবে আশার কথা হল, করোনার একটি ভ্যাকসিন আগামী আগস্টেই বাজারে আসতে যাচ্ছে। ভ্যাকসিনটি তৈরি করেছে যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা।সম্প্রতি অক্সফোর্ডের সেন্টার ফর পারসোনালাইজড মেডিসিনের প্রফেসর অ্যাড্রিয়ান হিল এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর আইরিশ মিররের।প্রতিবেদনে বলা হয়, ভ্যাকসিনটি ব্যবহার করা যাবে ইনহেলারের মাধ্যমে।করোনা প্রতিরোধী বিভিন্ন দেশে টিকা ও ওষুধ আবিষ্কারের প্রচেষ্টা চলছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা প্রতিরোধে এ টিকা উদ্ভাবনে ১২ থেকে ১৮ মাস সময় লাগতে পারে।
তবে এর মধ্যেই কয়েকটি টিকা পরীক্ষামূলকভাবে মানবদেহে প্রয়োগ করা হয়েছে। তবে টিকা আবিষ্কারে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা।হিল জানান, তাদের তৈরি এই ভ্যাকসিন করোনা নির্মূলে সক্ষম হবে বলে ৮০ শতাংশ আত্মবিশ্বাসী গবেষকরা।ভ্যাকসিন তৈরির নেতৃত্ব দেওয়া এ আইরিশ বিজ্ঞানী বলেন, আগস্টের দিকেই বাজারে আসতে পারে এই ভ্যাকসিন।
গত এপ্রিলে শিশু ও ৫৫ বছর বয়সোর্ধ্বসহ ১০ হাজার ২৬০ জনের ওপর অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শুরু হয়েছে।ব্রিটিশ ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকা সম্প্রতি ঘোষণা দেয়, অক্সফোর্ডের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে তৈরি তাদের সেই ভ্যাকসিন কার্যকর প্রমাণিত হলেই ২০০ কোটি ডোজ তৈরি করা হবে। এরপরই ব্যাপক আলোচনায় আসে এটি। প্রথমে ভ্যাকসিনটির নাম ছিল ChAdOx1 nCoV-19। বর্তমানে এর নতুন ভার্সনের নাম হয়েছে AZD1222।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।