প্রকাশ: ৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৩:১৯
কোনো ট্যাগ পাওয়া যায়নি
কুমিল্লার দেবীদ্বারে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আয়োজিত উঠান বৈঠকে দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ভোট হচ্ছে জনগণের কাছে রাখা একটি পবিত্র আমানত। এই আমানতের খেয়ানত করা মানে কেয়ামতের আলামত। তাই তিনি জনগণকে আহ্বান জানান যেন কেবল দলীয় প্রতীক নয়, বরং যোগ্যতা ও সততার ভিত্তিতে প্রার্থীকে নির্বাচিত করেন।
শুক্রবার বিকেল ৫টায় দেবীদ্বার উপজেলার ফতেহাবাদ ইউনিয়নের খলিলপুর এলাকায় অনুষ্ঠিত এই উঠান বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, কোটি কোটি টাকা খরচ করে যারা এমপি হতে চায়, তারা সাধারণত সেবা করার জন্য নয়, ব্যবসা করার জন্য নির্বাচনে আসে। নির্বাচনকে পুঁজি করে তারা জনগণের ভোট কিনে নিয়ে পরবর্তীতে সেই অর্থ সুদে-আসলে ফেরত আদায় করে নেয়।
তিনি আরও বলেন, এক রাতের টাকার বিনিময়ে ৫ বছরের জন্য ভোটারদের মুখ বন্ধ রাখা কোনো সচেতন নাগরিকের কাম্য নয়। যে প্রার্থী টাকা দিয়ে ভোট কিনতে আসে, সে নেতৃত্বের জন্য অযোগ্য। কারণ সৎ ও যোগ্য প্রার্থীর জনগণের বিবেককে টাকা দিয়ে কিনতে আসার প্রয়োজন হয় না।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, যারা এই এলাকায় বসবাস করে, স্থানীয় স্কুলে পড়াশোনা করে, স্থানীয় বাজারে চলাফেরা করে, তারাই এই এলাকার সমস্যা প্রকৃতভাবে বোঝে। কিন্তু বহিরাগত বা ধনীর ছেলেরা কখনো জনগণের দুঃখ-কষ্ট অনুধাবন করতে সক্ষম নয়। তাই জনগণকে আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, মার্কা বা নাম দেখে নয়, বরং যার মধ্যে ভন্ডামি নেই, যে সৎ এবং যোগ্য মনে হয় তাকেই নির্বাচিত করতে হবে।
তিনি এও উল্লেখ করেন, নিজের জন্য নয় বরং জনগণের সেবা করার মানসিকতা নিয়ে কাজ করাই প্রকৃত রাজনীতির মূল উদ্দেশ্য হওয়া উচিত। তাই জনগণ যেন শুধু প্রথাগত প্রতীকের মোহে পড়ে কষ্টের বোঝা বইতে না হয়, সেদিকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন তিনি।
উঠান বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির কুমিল্লা জেলার অঞ্চল তত্ত্বাবধায়ক নাবিদ নওরোজ শাহ। এছাড়াও দেবীদ্বার উপজেলা এনসিপি, যুবশক্তি ও ছাত্র সংসদের নেতৃবৃন্দ সভায় অংশ নেন এবং বক্তব্য রাখেন।
সভা শেষে হাসনাত আব্দুল্লাহ স্থানীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডে গণসংযোগ করেন। তিনি সাধারণ মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং তাদের সমস্যা-সম্ভাবনার কথা মনোযোগ দিয়ে শোনেন।
গণপরিষদ নির্বাচন, নতুন সংবিধান প্রণয়ন, বিচার ও সংস্কারের দাবি নিয়েই এ উঠান বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। দলীয় নেতাদের মতে, এই কর্মসূচির মধ্য দিয়ে জনগণের কাছে নতুন এক দায়িত্বশীল রাজনীতির বার্তা পৌঁছে গেছে।