মিয়ানমারের ওপর বিস্তৃত অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট। একইসঙ্গে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনে স্বাভাবিক ও আইনগতভাবে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট নিষেধাজ্ঞা আরোপেরও আহ্বান জানানো হয়েছে।
এছাড়া মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর হাতে দেশটির সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মানবাধিকার লঙ্ঘনের পূর্ববর্তী ও সাম্প্রতিক সব ঘটনায় কঠোর নিন্দা জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার মিয়ানমারের রোহিঙ্গা পরিস্থিতি বিষয়ক এই প্রস্তাবটি পার্লামেন্টে ৫৪৬-১২ ভোটে পাশ হয়। ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিলেন ৯৪ জন আইনপ্রণেতা।
২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রাখাইনের কয়েকটি নিরাপত্তা চৌকিতে হামলার পর পূর্ব-পরিকল্পিত ও কাঠামোবদ্ধ সহিংসতা জোরালো করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। হত্যা-ধর্ষণসহ বিভিন্ন ধারার সহিংসতা ও নিপীড়ন থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রায় সাত লাখেরও বেশি মানুষ। সহিংসতা কবলিত রাখাইনের পরিস্থিতি অনুসন্ধানে ওই বছরের মার্চে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন গঠন করে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল।
গত বছর জাতিসংঘ মিশনের প্রতিবেদনে ২০১৭ সালের আগস্ট পরবর্তী সময়ে রাখাইনে মিয়ানমারের সেনা অভিযানে গণহত্যার আলামত মেলে। এই অবস্থানের প্রতি নিজেদের সমর্থনের কথা জানান ইউরোপীয় আইনপ্রণেতারা। মিয়ানমারে চলমান ও দীর্ঘমেয়াদি সংঘাতে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তারা। একই সঙ্গে আবারও তারা দেশটির নেত্রী অং সান সু চি এবং সেনাবাহিনীকে দ্রুত সংঘাত বন্ধের আহ্বান জানান। ২০১৬ সাল থেকে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধের প্রাথমিক তদন্তে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) চিফ প্রসিকিউটরের উদ্যোগকে স্বাগত জানান ইউরোপীয় আইনপ্রণেতারা।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।