বিশ্ব গণমাধ্যমে সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী তারেক রহমান

আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থাগুলো এই প্রত্যাবর্তনকে শুধু একটি ব্যক্তিগত ঘটনা হিসেবে দেখেনি; বরং বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নেতৃত্বের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত করেছে। রয়টার্স, এএফপি ও বিবিসির প্রতিবেদনে তারেক রহমানকে ‘সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী’ এবং ‘প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী’ হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে।

হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়েতে বিমানের চাকা স্পর্শ করার সঙ্গে সঙ্গেই শেষ হয় ৬ হাজার ৩১৪ দিনের দীর্ঘ অপেক্ষা। স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমান ও কন্যা জাইমা রহমানকে সঙ্গে নিয়ে বিমান থেকে নামার মুহূর্তটি অনেকের কাছে নতুন রাজনৈতিক অধ্যায়ের সূচক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

বিশ্ব গণমাধ্যমের বিশ্লেষণে উঠে এসেছে, ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচনের প্রাক্কালে তারেক রহমানের এই প্রত্যাবর্তন বাংলাদেশের ক্ষমতার রাজনীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে পারে। রয়টার্স তাদের প্রতিবেদনে শিরোনাম করে জানায়—নির্বাচনের আগে নির্বাসন থেকে ফিরলেন বাংলাদেশের সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী। প্রতিবেদনে বলা হয়, তার ফেরা সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক উদ্দীপনা তৈরি করেছে।

ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার উত্তরসূরি তারেক রহমান বিপুল জনসমর্থনের মধ্য দিয়ে দেশে ফিরেছেন, যা নির্বাচনের গতিপথ বদলে দিতে পারে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি তাকে সরাসরি প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে উল্লেখ করে জানায়, দীর্ঘ নির্বাসন শেষে দেশে ফিরলেন বাংলাদেশের সম্ভাব্য পরবর্তী নেতা।

আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের মতে, তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন গণতন্ত্রে ফেরার একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বহন করছে।