শ্রীলঙ্কায় ঘূর্ণিঝড় ‘ডিটওয়াহ’–র প্রভাবে জরুরি অবস্থা জারি

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র (ডিএমসি) জানিয়েছে, দেশজুড়ে ১৫ হাজারের বেশি বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে এবং ৭৮ হাজার মানুষকে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীকে মোতায়েন করে উদ্ধার তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে। অনুরাধাপুরা জেলায় ৬৯ জন বাসযাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে, যার মধ্যে একজন জার্মান পর্যটকও রয়েছেন।

বদুল্লা জেলার বিভিন্ন সড়ক চলাচলের অযোগ্য হয়ে যাওয়ায় অনেক গ্রামের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত মাসপান্না গ্রামের বাসিন্দারা খাবার ও পরিষ্কার পানির জন্য সমস্যায় পড়েছেন। দেশের এক-তৃতীয়াংশ এলাকায় বিদ্যুৎ ও পানির সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। ক্যান্ডি জেলায় নতুন ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে।

সরকার আন্তর্জাতিক সহায়তার জন্য আহ্বান জানিয়েছে। বিদেশে অবস্থানরত শ্রীলঙ্কানদেরও নগদ অর্থ পাঠানোর অনুরোধ জানানো হয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ইতোমধ্যে ভারত দুটি বিমান ও একটি যুদ্ধজাহাজের মাধ্যমে ত্রাণ পাঠিয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় ‘ডিটওয়াহ’ শ্রীলঙ্কা ত্যাগ করে ভারতের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। ভারতের চেন্নাই বিমানবন্দর থেকে ৫৪টি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় প্রবল বর্ষণ ও ঝড় হতে পারে।

২০১৭ সালের পর এটি শ্রীলঙ্কার সবচেয়ে প্রাণঘাতী প্রাকৃতিক দুর্যোগ। ২০০৩ সালের জুনেও দেশের ইতিহাসে ভয়াবহ বন্যা হয়েছিল।