প্রকাশ: ১০ অক্টোবর ২০২৫, ১৯:৫০

ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্ত হওয়ার পর বাংলাদেশি আলোকচিত্রী ও মানবাধিকারকর্মী শহিদুল আলম বর্তমানে তুরস্কে অবস্থান করছেন। শুক্রবার (১০ অক্টোবর) প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে জানানো হয়, টার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তিনি তুরস্কে পৌঁছান।
পোস্টে উল্লেখ করা হয়, তুরস্কের ইস্তাম্বুল বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর শহিদুল আলমকে স্বাগত জানান বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। ওই পোস্টে শহিদুল আলমের কিছু ছবিও প্রকাশ করা হয়েছে যেখানে তাকে হাসিমুখে দেখা যায়।
এর আগে বিকেলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে জানানো হয়, শহিদুল আলম ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্ত হয়েছেন। তার মুক্তিতে সহযোগিতার জন্য প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানকে ধন্যবাদ জানান।
ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের অবরোধ ভাঙার উদ্দেশ্যে ‘ফ্রিডম ফ্লোটিলা’ অভিযানে অংশ নেন শহিদুল আলম। গাজার উদ্দেশ্যে যাত্রা করা এ অভিযানে বিভিন্ন দেশের রাজনীতিক, সাংবাদিক, চিকিৎসক ও মানবাধিকারকর্মীরা যুক্ত ছিলেন। শহিদুল আলম ছিলেন ওই নৌবহরের ‘কনশানস’ নামের জাহাজে থাকা সদস্যদের একজন।
গত বুধবার ইসরায়েলি সেনারা ফ্লোটিলার সব নৌযানে অভিযান চালিয়ে যাত্রী ও অধিকারকর্মীদের আটক করে। এ সময় শহিদুল আলমসহ সবাইকে ইসরায়েলের একটি বন্দিশিবিরে নিয়ে যাওয়া হয়। এই খবর প্রকাশের পর বাংলাদেশ সরকার তার মুক্তির জন্য কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু করে।

প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় জানায়, ঘটনাটি জানার সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশ জর্ডান, মিশর ও তুরস্কে অবস্থিত দূতাবাসগুলোকে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর পররাষ্ট্র দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে নির্দেশ দেয়। দ্রুত উদ্যোগের ফলেই শহিদুল আলম মুক্তি পান এবং তুরস্কে নিরাপদে পৌঁছান।
শহিদুল আলমের মুক্তিতে দেশজুড়ে স্বস্তি ও আনন্দের সঞ্চার হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে তাকে মানবতার কণ্ঠস্বর হিসেবে অভিহিত করেছেন। ফিলিস্তিনের পক্ষে তার দৃঢ় অবস্থান এবং মানবাধিকার আন্দোলনে নিরলস ভূমিকা আন্তর্জাতিক মহলেও প্রশংসিত হয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরে তিনি আলোকচিত্র ও মানবাধিকার কর্মে যুক্ত রয়েছেন। দৃক গ্যালারির প্রতিষ্ঠাতা এই আলোকচিত্রী বরাবরই মানবাধিকার, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে সক্রিয় থেকেছেন। গাজা অভিমুখে যাত্রার মধ্য দিয়ে তিনি আবারও মানবতার পক্ষে অবস্থান তুলে ধরেছেন।