প্রকাশ: ২৩ জুন ২০২৫, ১২:১৫
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক বিমান হামলার পর মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটিগুলোকে লক্ষ্য করে পাল্টা হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছে নিউইয়র্ক টাইমস। মার্কিন সেনা ও গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যমতে, ইরাক ও সিরিয়ার বিভিন্ন স্থানে এসব মিলিশিয়া গোষ্ঠীর সশস্ত্র তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
বিশেষ করে ইরাকের আইন আল আসাদ ঘাঁটি এবং সিরিয়ার মার্কিন অবস্থানগুলোকে সম্ভাব্য লক্ষ্যবস্তু হিসেবে দেখা হচ্ছে। যদিও এখনো পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র বা ইরান সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে এই বিষয়ে কোনো বক্তব্য দেয়নি, তবে পরিস্থিতির নজরদারি চলছে বলেই ধারণা বিশ্লেষকদের।
ইরাক সরকার সম্ভাব্য হামলা প্রতিহত করতে সর্বোচ্চ সতর্কতায় রয়েছে এবং দাবি করেছে, আপাতত এসব গোষ্ঠী নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রয়েছে। তবে ইতিহাস বলছে, যেকোনো মুহূর্তে পরিস্থিতি বদলে যেতে পারে।
আইন আল আসাদ ঘাঁটি ২০২০ সালে ইরানের কুদস ফোর্সের প্রধান কাসেম সোলাইমানি নিহত হওয়ার পর সরাসরি ইরানের মিসাইল হামলার শিকার হয়েছিল। সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তির আশঙ্কা থেকেই মার্কিন সেনা অবস্থানগুলোতে বাড়ানো হয়েছে সতর্কতা।
ইরবিলের মার্কিন বিমানঘাঁটি, যেখানে গোয়েন্দা কার্যক্রম ও সামরিক প্রশিক্ষণ চালানো হয়, সেখানেও নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এই ঘাঁটিটি মার্কিন ও মিত্র বাহিনীর জন্য কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে হাশদ আশ-শাবি, কতাইব হিজবুল্লাহ, আসাইব আহল আল-হক ও বদর অর্গানাইজেশন ইতিপূর্বে একাধিকবার যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী হামলায় সক্রিয় ভূমিকা রেখেছে। এসব গোষ্ঠীর পাশাপাশি লেবাননের হিজবুল্লাহ ও ইয়েমেনের হুতিরাও মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে জটিল করে তুলছে।
সিরিয়ায় ফাতেমিয়ুন ও জাইনাবিয়ুন ব্রিগেডের তৎপরতা, যাদের পেছনে কুদস ফোর্সের প্রত্যক্ষ সহায়তা রয়েছে, সেই তৎপরতাও ইঙ্গিত দিচ্ছে আরও বিস্তৃত সংঘর্ষের সম্ভাবনার। ফলে আন্তর্জাতিক অঙ্গন এখন তাকিয়ে আছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান কীভাবে পরিস্থিতি সামাল দেয় সেই দিকে।