প্রকাশ: ২২ জুন ২০২৫, ১২:৮
যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় বিমান হামলার প্রতিশোধ হিসেবে ইরান বাহরাইনে মার্কিন নৌবাহিনীর জাহাজে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর পাশাপাশি হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে। রোববার (২২ জুন) ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির প্রভাবশালী উপদেষ্টা ও কায়হান পত্রিকার প্রধান সম্পাদক হোসেইন শরিয়তমাদারি এই ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, ফোরদো পারমাণবিক স্থাপনায় মার্কিন হামলার জবাবে ইরানের পালা শুরু হয়েছে।
শরিয়তমাদারি আরও বলেন, কোনো সংশয় বা বিলম্ব ছাড়াই বাহরাইনে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর উপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হবে এবং একযোগে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, জার্মানি ও ফ্রান্সের জাহাজ চলাচলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দেয়া হবে। এই কঠোর পদক্ষেপ ইরানের প্রতিরোধের শক্তিকে প্রতিফলিত করে এবং মার্কিন আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কড়া বার্তা দেয়।
এর আগে শনিবার রাতে যুক্তরাষ্ট্রের বোমারু বিমান ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়। এই হামলার পর হোয়াইট হাউস থেকে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি জানান, ইসরায়েলের নিরাপত্তা রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র অনেক দূর এগিয়েছে। তিনি সতর্ক করেন, শান্তি না এলে ইরানের জন্য মারাত্মক পরিণতি আসবে এবং আরও লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হবে।
ট্রাম্প বলেন, এই হামলার লক্ষ্য ইরানের পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ সক্ষমতা সম্পূর্ণরূপে শেষ করে দেয়া এবং সন্ত্রাসের প্রধান মদদদাতা দেশের পারমাণবিক হুমকি বন্ধ করা। তবে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির পক্ষ থেকে এখনো এই হামলার বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া আসেনি।
আয়াতুল্লাহ খামেনির টেলিগ্রাম একাউন্ট থেকে সম্প্রতি শেয়ার করা একটি ভিডিও বার্তায় তিনি সতর্ক করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে, তাহলে তাদের নিজের ক্ষতি হবে এবং তা ইরানের ক্ষতির চেয়ে অনেক বেশি ভয়াবহ হবে। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রই এই সংঘাত থেকে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
এই উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এখন বিক্ষিপ্ত এই সংকটের সমাধান কীভাবে আসবে, সে দিকে তাকিয়ে আছে।