প্রকাশ: ২২ জুন ২০২৫, ১১:৪৮
যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক বিমান হামলার পরও নিজেদের পরমাণু কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে ইরান। রোববার দেশটির পরমাণু শক্তি সংস্থার পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, সামরিক হামলা কিংবা বিদেশি ষড়যন্ত্র কোনোভাবেই ইরানের পরমাণু উন্নয়নের পথ রোধ করতে পারবে না। এই বিবৃতি ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
পরমাণু শক্তি সংস্থার বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, দেশের পারমাণবিক উদ্যোগ একবিংশ শতাব্দীর এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং এটি শহীদ বিজ্ঞানীদের আত্মত্যাগের ফল। শত্রুরা যত পরিকল্পনাই করুক না কেন, এই পথ চলা থামবে না বরং আরও শক্তিশালী হবে বলে জানানো হয়।
ইরানের জনগণকে আশ্বস্ত করে সংস্থাটি বলেছে, বাইরের কোনো চাপ বা হামলা ইরানকে পরমাণু প্রযুক্তি থেকে পেছনে টানতে পারবে না। তাদের লক্ষ্য হচ্ছে শান্তিপূর্ণভাবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে আত্মনির্ভরশীলতা অর্জন করা, যা কোনো রকম হুমকির মুখে থেমে থাকবে না।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের দাবি অনুযায়ী, তারা ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায়—ফোরদো, নাতানজ এবং ইসফাহান—সফলভাবে বিমান হামলা চালিয়েছে। যদিও ইরান সরকার এই হামলার প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি, তবে দেশটির প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও সক্রিয় রয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
এই ঘটনার পর মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা এক ধাপ বেড়েছে। পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, এই পরিস্থিতি আন্তর্জাতিক কূটনীতিকে আরও জটিল করে তুলতে পারে এবং পারমাণবিক ইস্যুকে কেন্দ্র করে নতুন সংঘাতের সম্ভাবনাও তৈরি হচ্ছে।
ইরানের অবস্থান থেকে এটা স্পষ্ট যে তারা কোনোভাবেই নিজেদের পরমাণু উদ্যোগ থেকে সরে আসবে না। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এখন অপেক্ষায়, আগামী দিনে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যকার এই উত্তেজনা কোন দিকে মোড় নেয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই অবস্থান ধরে রাখা ইরানের জন্য যেমন আত্মমর্যাদার বিষয়, তেমনি আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য এক বড় চ্যালেঞ্জও বটে।