প্রকাশ: ২২ জুন ২০২৫, ১০:৪৬
ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় মার্কিন বিমান হামলার পর দেশটির বিরুদ্ধে আরও বড় ধরনের হামলার হুমকি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শনিবার রাতে এই হামলার পরপরই তিনি নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে একাধিক বার্তায় ইরানকে কড়া সতর্কবার্তা দেন। তার ভাষ্য, ইরানের যেকোনো প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপের জবাব হবে আরও শক্তিশালী ও ধ্বংসাত্মক।
ট্রাম্প স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, ইরান যদি পাল্টা হামলার চেষ্টা করে, তবে যুক্তরাষ্ট্র দ্বিগুণ শক্তি দিয়ে জবাব দেবে। তিনি লেখেন, “আজ রাতে যা হয়েছে, তার চেয়ে বেশি শক্তি দিয়ে আমরা প্রতিশোধের জবাব দেবো।” ট্রাম্পের এই বার্তা অনেক আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকের কাছেই নতুন উত্তেজনার ইঙ্গিত হিসেবে দেখা হচ্ছে।
জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্র শনিবার রাতে ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে। স্থাপনাগুলো হলো ফোরদো, নাতাঞ্জ ও ইস্পাহান। এই হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের বি-২ স্টেলথ বোমারু বিমান ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন একজন মার্কিন কর্মকর্তা। হামলার সফলতা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই বলে দাবি করেছেন ট্রাম্প।
ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প আরও লেখেন, “আমরা সফলভাবে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলা চালিয়েছি। এখন সব বিমান নিরাপদে ইরানের আকাশসীমার বাইরে চলে গেছে।” তিনি ইঙ্গিত দেন, এই হামলা কেবল শুরু মাত্র, এবং যুক্তরাষ্ট্রের হাতে এখনও বহু লক্ষ্যবস্তু রয়েছে।
ট্রাম্পের ভাষ্য অনুযায়ী, শান্তি না এলে পরবর্তী ধাক্কা হবে আরও বড় এবং মারাত্মক। তিনি বলেন, “গত আট দিনে যা দেখেছেন, সেটি যদি শান্তির পথে না নিয়ে যায়, তবে আগামী দিনগুলো ইরানের জন্য আরও বিধ্বংসী হতে পারে।”
বিশ্লেষকরা বলছেন, ইরান যদি এই মুহূর্তে পাল্টা প্রতিক্রিয়া দেখায়, তবে মধ্যপ্রাচ্যে বড় ধরনের যুদ্ধ পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। একদিকে ট্রাম্পের যুদ্ধংদেহী হুমকি, অন্যদিকে ইরানের সম্মান ও প্রতিরক্ষার প্রশ্ন—এই দুইয়ের সংঘাতে আগামী দিনগুলো হয়ে উঠতে পারে অস্থির ও অনিশ্চিত।
মার্কিন প্রশাসনের এই অবস্থান স্পষ্টভাবে বোঝাচ্ছে যে, যুক্তরাষ্ট্র এখন আর শুধু হুঁশিয়ারিতে থেমে থাকছে না। বাস্তব হামলা ও তার পরবর্তী কূটনৈতিক বার্তায় পরিষ্কার—তেহরান এখন আগুনের রাস্তায় দাঁড়িয়ে।