প্রকাশ: ২০ জুন ২০২৫, ০:৩৫
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাবেক কর্মকর্তা ডেভিড ডেস রোচেস দাবি করেছেন, ইরান এখন পর্যন্ত ইসরায়েলের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক অবকাঠামোগুলোতে সরাসরি হামলা চালাতে পারছে না। তার মতে, ইরানের হামলার লক্ষ্যবস্তুগুলো কৌশলগতভাবে তুলনামূলক দুর্বল ও কম গুরুত্বপূর্ণ।
আলজাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ডেভিড ডেস রোচেস বলেন, ইরান যে সব জায়গায় হামলা চালাচ্ছে, সেখানে হয়তো খুব শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নেই, কিংবা একেবারেই কোনো প্রতিরক্ষা নেই। ফলে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি ঘটানোর আশঙ্কাও সীমিত।
তিনি বলেন, ইরান মূলত এড়িয়ে যাচ্ছে কমান্ড ও কন্ট্রোল সেন্টার, বিমানঘাঁটি বা বড় সামরিক ঘাঁটিগুলোকে। এই গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলো সাধারণত অত্যন্ত উন্নত ও শক্তিশালী আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দিয়ে সুরক্ষিত থাকে। এ ধরনের স্থাপনায় আঘাত হানতে হলে শুধু অস্ত্র নয়, প্রয়োজন সুনির্দিষ্ট প্রযুক্তি ও নির্ভুল লক্ষ্যভেদ ক্ষমতা।
ডেভিড ডেস রোচেস আরও দাবি করেন, এখন পর্যন্ত ইরান যে হামলাগুলো চালিয়েছে, সেগুলোর সামরিক গুরুত্ব খুব একটা বেশি নয়। এসব হামলা হয়তো প্রতীকী বা মনস্তাত্ত্বিক উদ্দেশ্য পূরণের জন্য, কিন্তু তা বাস্তব যুদ্ধের সমীকরণে বড় প্রভাব ফেলছে না।
এই সাবেক মার্কিন কর্মকর্তা মনে করেন, ইরানের ভেতরে এখনো আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি রয়েছে। তারা নিশ্চিত নয়, তাদের ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ইসরায়েলের শক্ত সামরিক স্থাপনাগুলোতে কার্যকরভাবে আঘাত হানতে পারবে কিনা। এই দ্বিধার কারণেই হয়তো তারা কম ঝুঁকিপূর্ণ লক্ষ্যবস্তু বেছে নিচ্ছে।
অন্যদিকে, ইরান দাবি করেছে, তারা দখলদার ইসরায়েলের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো লক্ষ্য করে ধারাবাহিকভাবে আঘাত হানছে। তেহরান বলছে, এসব হামলার মাধ্যমে তারা ইসরায়েলের আকাশসীমায়ও নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে।
তবে দুই পক্ষের বক্তব্যের মধ্যে যে ফারাক রয়েছে, তা থেকেই স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে—মাঠের বাস্তবতা এখনো অনেক জটিল। যুদ্ধ শুধু গোলাবারুদে হয় না, তা কৌশল, মনস্তত্ত্ব এবং বিশ্বমঞ্চে বার্তা দেওয়ার খেলা বলেও মনে করছেন বিশ্লেষকরা।