প্রকাশ: ২০ জুন ২০২৫, ১৭:৪১
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি তার যুদ্ধকালীন সর্বময় ক্ষমতা রেভল্যুশনারি গার্ডস (আইআরজিসি)-এর শীর্ষ পরিষদের কাছে হস্তান্তর করেছেন বলে জানিয়েছে ইরান ইন্টারন্যাশনাল। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্ভাব্য যুদ্ধ পরিস্থিতিতে নেতৃত্ব কাঠামো অক্ষুণ্ন রাখতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ঘটনাটিকে বিশেষজ্ঞরা এক ধরনের আগাম প্রস্তুতি হিসেবে দেখছেন, যাতে শীর্ষ নেতার ক্ষতি হলেও কমান্ড কাঠামো চালু রাখা যায়।
খবরে আরও বলা হয়েছে, রাজধানী তেহরানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের লাভিজান এলাকার একটি গোপন বাঙ্কারে খামেনিকে তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তার সঙ্গে রয়েছেন তার অত্যন্ত প্রভাবশালী ছেলে মোজতবা খামেনিও, যাকে ভবিষ্যতের নেতা হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
এদিকে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি পোস্টে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন। ট্রুথ সোশ্যালে তিনি লেখেন, তারা জানেন খামেনি কোথায় আছেন, তিনি এখন একটি সহজ টার্গেট। যদিও তাকে আপাতত হত্যা করা হবে না, কিন্তু মার্কিন ধৈর্য দিন দিন ফুরিয়ে আসছে।
ট্রাম্প আরও বলেন, মার্কিন সেনা ও বেসামরিক নাগরিকদের দিকে যেন আর কোনো ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া না হয়। তার এই মন্তব্য নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে।
এদিকে ইসরাইল-ইরান চলমান সংঘাতের অষ্টম দিনে হামলা-পাল্টা হামলা আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে। ইসরাইলি হামলায় ইরানের একাধিক সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। জবাবে ইরানও ব্যাপক পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।
ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ান এক বিবৃতিতে বলেন, ইসরাইল যদি হামলা বন্ধ না করে, তাহলে ইরানের প্রতিক্রিয়া হবে আগের চেয়ে আরও কঠোর। তিনি বলেন, এই সংঘাত শুধু মধ্যপ্রাচ্য নয়, গোটা বিশ্বের জন্য হুমকি হয়ে উঠছে।
এই প্রেক্ষাপটে খামেনির ক্ষমতা হস্তান্তর ও গোপন বাঙ্কারে সরিয়ে নেওয়া স্পষ্টতই ইরানের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের মধ্যে নিরাপত্তা উদ্বেগের প্রতিফলন। ইরান আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কূটনৈতিক অবস্থান নিয়ে চিন্তিত এবং সম্ভাব্য বড় আঘাত প্রতিহত করতে ইতোমধ্যে প্রস্তুতি শুরু করেছে।