প্রকাশ: ১৮ জুন ২০২৫, ১১:৩
কোনো ট্যাগ পাওয়া যায়নি
মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। মঙ্গলবার (১৭ জুন) রাতে ইরান থেকে ইসরাইলের রাজধানী তেল আবিবের দিকে ছোড়া হয়েছে একটি ‘ফাত্তাহ-১’ হাইপারসোনিক ক্ষেপণাস্ত্র। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এই মিসাইলটি হাইপারসনিক হিসেবে পরিচিত হলেও এর প্রকৃত গতি ও ধ্বংসক্ষমতা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) একে ‘ইসরাইল-স্ট্রাইকার’ আখ্যা দিয়েছে।
২০২৩ সালে ফাত্তাহ মিসাইলটির আনুষ্ঠানিক উন্মোচন করা হয়। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি নিজেই এই ক্ষেপণাস্ত্রের নাম দেন। এটি তখন থেকেই আলোচনায় ছিল, তবে এবারই প্রথম যুদ্ধক্ষেত্রে এর ব্যবহার হলো।
২০২৪ সালের ১ অক্টোবর ইরান প্রথমবারের মতো এই ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক ব্যবহার করে। তখন একযোগে কয়েক ডজন ‘ফাত্তাহ-১’ মিসাইল ইসরাইলের দিকে নিক্ষেপ করা হয়েছিল।
এবারের সংঘাতে ইরান সরাসরি তেল আবিবকে লক্ষ্য করে এই মিসাইল ব্যবহার করেছে। আইআরজিসি-র পক্ষ থেকে জানানো হয়, এটি ৪০০ সেকেন্ডের মধ্যে তেল আবিবে আঘাত হানতে সক্ষম।
এই ঘোষণার প্রেক্ষিতে তেহরানে একটি বিশাল ব্যানার টানানো হয়েছিল, যেখানে হিব্রু ভাষায় লেখা ছিল, “তেল আবিবে ৪০০ সেকেন্ড।” এতে মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনীতিতে নতুন উত্তেজনার ইঙ্গিত মেলে।
তবে, সামরিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফাত্তাহ-১ ক্ষেপণাস্ত্রকে ‘হাইপারসনিক’ বলা হলেও, সেটি আদৌ প্রকৃত হাইপারসনিক গতিতে পৌঁছাতে পারে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। তারা এর প্রযুক্তিগত সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
উল্লেখ্য, ১৩ জুন থেকে ইরান ও ইসরাইলের মধ্যে শুরু হওয়া পাল্টাপাল্টি হামলা বর্তমানে ভয়াবহ সংঘাতে রূপ নিয়েছে। একাধিক এলাকায় ড্রোন, মিসাইল ও বিমান হামলার ঘটনা ঘটেছে। উভয় দেশই দোষারোপ করছে একে অপরকে।
এই পরিস্থিতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের গভীর উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। নতুন করে ফাত্তাহ মিসাইল ব্যবহারের মাধ্যমে ইরান যে একটি কঠোর বার্তা দিতে চায়, তা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।