প্রকাশ: ১৭ জুন ২০২৫, ১৮:২৮
ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান উত্তেজনা দিন দিন আরও বাড়ছে। সাম্প্রতিক সময়ে দুই দেশের মধ্যে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ও পাল্টা প্রতিহামলা ঘটেছে, যা গ্লোবাল অঙ্গনে উদ্বেগ বাড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তেহরানে বসবাসকারী নাগরিকদের দ্রুত এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছেন, যা আন্তর্জাতিক মঞ্চে তীব্র সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গুই জিয়াকুন এই সিদ্ধান্তকে ‘আগুনে ঘি ঢালার মতো’ উল্লেখ করে বলছেন, এটি অস্থিরতাকে আরও বাড়িয়ে তুলবে এবং সংঘাতকে বিস্তার করবে। তিনি পরামর্শ দিয়েছেন যে এই সংকট নিরসনের একমাত্র উপায় হল সংলাপ ও সমঝোতা।
গত সোমবার রাতে ইরান তেলআবিবের দিকে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়, যা তাদের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় এবং তীব্র আক্রমণ বলে দাবি করা হয়। এ হামলার ফলে তেলআবিব ও আশপাশের এলাকায় সতর্কতা সংকেত বাজতে শুরু করে এবং স্থানীয়রা আতঙ্কিত হয়। ইরান বলেছে, তাদের এই হামলা প্রতিরোধের অংশ এবং তারা ইসরায়েলের ওপর প্রহার চালিয়ে যাচ্ছে।
অন্যদিকে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লাহ আলি খামেনির ওপর হামলা চালানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন এবং বলেন, এটি হতে পারে এই সংঘাতের সমাধানের উপায়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের তেহরান ত্যাগের আহ্বানও এই সংকটকে আরও উত্তেজিত করেছে, কারণ তিনি চান না যে ইরান পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন করুক।
সংঘাতের এই গরম লড়াইয়ে এখন পর্যন্ত ইরানে অন্তত ২২০ জন নিহত হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে নারী ও শিশু। ইসরায়েলে পাল্টা হামলায় ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। পরিস্থিতি দিন দিন সংকটময় হয়ে উঠছে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় উদ্বেগ প্রকাশ করছে।
বিশ্বব্যাপী শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য দ্রুত সংলাপ ও আলোচনার মাধ্যমে এই সংকট নিরসনের আহ্বান জানানো হচ্ছে। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য মহাশক্তির ভূমিকা কতটা কার্যকর হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। ভবিষ্যতে এই সংঘাতের ফলাফল কী হবে তা বিশ্বনাগরিকদের জন্য বড় এক চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে।