প্রকাশ: ১৭ জুন ২০২৫, ১৭:৬
মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা আবার বেড়েই চলছে। ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড কোরপস (আইআরজিসি) সম্প্রতি ইসরায়েলের সামরিক গোয়েন্দা স্থাপনার ওপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলার দাবি করেছে। দেশটির তাসনিম নিউজ এজেন্সির এক বিবৃতিতে আইআরজিসি জানিয়েছে, তারা ইসরায়েলের একটি গুরুত্বপূর্ণ গোয়েন্দা কেন্দ্র এবং মোসাদের অপারেশন প্ল্যানিং ইউনিটকে লক্ষ্য করে সফল হামলা চালিয়েছে। ইরানের এই ক্ষেপণাস্ত্র আঘাতের খবর বিশ্বজুড়ে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে।
এর আগে ইসরাইলি সংবাদ মাধ্যমে জানানো হয়, মধ্য উপকূলীয় শহর হেরজেলিয়াতে একটি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হয়েছিল যা সামরিক বা কৌশলগত লক্ষ্যবস্তু ছিল। তবে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ এখনো এ ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেনি এবং সেখানে গণমাধ্যম প্রবেশ নিষিদ্ধ রাখা হয়েছে। কাতারভিত্তিক আল জাজিরা জানিয়েছে, এই হামলার ফলে ইসরাইলের ইন্টেলিজেন্স কমপ্লেক্সে বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে বলে খবর পাওয়া যায়নি, কারণ এ সম্পর্কিত নির্ভরযোগ্য তথ্য এখনও গোপন রাখা হচ্ছে।
তবে বিভিন্ন অননুমোদিত সূত্র বলছে, এই হামলা ইসরায়েলের মোসাদের কুখ্যাত ৮২০০ ইউনিট এবং বাহাদ ১৫ ইন্টেলিজেন্স স্কুলসহ সামরিক কলেজগুলোর কাছাকাছি হয়েছে। এর ফলে এই অঞ্চলে নতুন করে নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে চলমান এই সংঘর্ষের পেছনে দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক ও সামরিক উত্তেজনা কাজ করছে, যা এই ধরনের হামলার কারণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। ইসরাইলি সামরিক বাহিনী এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি এবং পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে।
তবে এই হামলা ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে বিদ্যমান উত্তেজনাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। আন্তর্জাতিক মহল এ ঘটনার দ্রুত শান্তিপূর্ণ সমাধান কামনা করছে। নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, সাম্প্রতিক এই হামলা মধ্যপ্রাচ্যে ভবিষ্যতে বড় ধরনের সংঘাতের আশঙ্কাকে তীব্র করেছে। তাছাড়া, এই ঘটনার ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে এবং বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সচেষ্ট হয়েছেন। সামগ্রিকভাবে, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নতুন মাত্রা যোগ করেছে এবং ভবিষ্যতে এর প্রভাব কী রকম হতে পারে, তা বিশ্বজুড়ে নজর রাখা হচ্ছে।