প্রকাশ: ১৫ জুন ২০২৫, ১১:৩৮
ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান সংঘাতের মধ্যেই যুক্তরাজ্য মধ্যপ্রাচ্যে আরও যুদ্ধবিমান পাঠাচ্ছে বলে জানিয়েছে দেশটির প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। শনিবার (১৪ জুন) তিনি কানাডায় জি-৭ সম্মেলনে অংশগ্রহণের পথে সাংবাদিকদের এ তথ্য দেন। কিয়ার স্টারমার বলেন, এই যুদ্ধবিমানগুলো এই অঞ্চলে জরুরি সহায়তা দেওয়ার জন্য পাঠানো হবে।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে জানানো হয়েছে, তিনি শনিবার সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন। আলোচনা ছিল মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা পরিস্থিতি এবং সংঘাতের তীব্রতা কমানোর বিষয়ে। স্টারমার বলেন, বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যে আরও রয়্যাল এয়ার ফোর্সের (আরএএফ) জেট পাঠানো হচ্ছে।
তাইফুন যুদ্ধবিমান এবং আকাশ থেকে আকাশে জ্বালানি তেলবাহী বিমানগুলো এই অঞ্চলে জরুরি সহায়তা পৌঁছানোর কাজে নিয়োজিত থাকবে। এই পদক্ষেপ যুক্তরাজ্যের পক্ষ থেকে শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় নেওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার ভোরে ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিমান হামলা চালায়। এই হামলায় ছয় ইরানি বিজ্ঞানীসহ অন্তত ৭৮ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া তিন শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন বলে সরকারি সূত্রে জানা গেছে।
ইরানের পক্ষ থেকেও পাল্টা হামলা চালানো হয়েছে, যার ফলে অন্তত নয়জন ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন দেড় শতাধিক। এই দফায় হামলা ও পাল্টা হামলার মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনা আরও বেড়ে গেছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই সংঘাত অবসান না হওয়া পর্যন্ত মধ্যপ্রাচ্যের অবস্থা অনিশ্চিত ও বিপজ্জনক থাকবে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপ সত্ত্বেও দুই পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব তীব্র হচ্ছে এবং এতে ওই অঞ্চলের সাধারণ মানুষ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
মধ্যপ্রাচ্যের স্থিতিশীলতার জন্য আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও কূটনৈতিক প্রচেষ্টা জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে। যুক্তরাজ্যের এই নতুন পদক্ষেপ এমন একটি সংকটে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার লক্ষ্যে নেওয়া হয়েছে, যা সংঘাতের পরিধি বৃদ্ধির আশঙ্কা কমাতে পারে।
এই পরিস্থিতি নিয়মিত নজরদারির বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে বিশ্বমঞ্চে। আশা করা হচ্ছে, দ্রুত কোনও কূটনৈতিক সমাধান বের হয়ে অঞ্চল শান্তির পথে ফিরে আসবে।